প্রচণ্ড গরম ছেড়ে ধীরে ধীরে পরিবর্তন হচ্ছে আবহাওয়া। আর ঋতু বদলের এই সময়ে ক্রমশই বাড়ছে সর্দি, কাশি আর জ্বর এর সমস্যা। এই ভাইরাল ফিভার বা ফ্লু এর মত জ্বরে শরীর খুব দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই মরশুম বদলের এই সময়ে অসুস্থ হওয়ার আগে থেকেই সাবধান থাকুন। তাই শরীর সুস্থ থাকতে এবং জ্বর সর্দির হাত থেকে রক্ষা পেতে শুরু থেকেই মেনে চলুন এই নিয়মগুলি।
আরও পড়ুন- বাজারের কেনা নয়, ভরসা রাখুন বাড়ির তৈরি স্ক্রাবারে
ছোট-বড় সবাই এই সময়টা কম-বেশি ভোগেন। আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় ব্যকটেরিয়া ভাইরাস সক্রিয় হয়ে ওঠে। এই সমস্যার হাত থেকে বাঁচতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। এই সমস্যায় কখনোই নিজের ইচ্ছে মত ওষুধ খাবেন না। হালকা জ্বর বা গ্যায়ে ব্যাথা থাকলে প্যারাসিটামল খেতে পারেন। তবে উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর শরীর খারাপ হলে কখনোই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাবেন না। এত সমস্যা আরও বৃ্দ্ধি পেতে পারে। তাই মরশুম বদলের আগে থেকেই কিছু বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করলে এড়ানো সম্ভব এই ভাইরাল ফিভার।
আরও পড়ুন- এই মরশুমে টম্যাটোর সাহায্যে ত্বক করে তুলুন দিপ্তীময় ও আকর্ষনীয়
যাঁদের হাঁপানি, হার্টের সমস্যা, ফুসফুস-এর মত সমস্যা আছে তাঁদের বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। ঋতু বদলের এই সময় থেকেই নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করুন। যাঁরা ইতিমধ্যেই এই জ্বরে আত্রান্ত তাঁদের থেকে দূরে থাকুন। আর আফনার যদি জ্বর হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে জ্বর ছেড়ে যাওয়ার পরেও ২৪ ঘণ্টা বাড়িতে থাকুন।
আরও পড়ুন- ভুত-চতুর্দশী পালন হয় বিদেশেও, জেনে নিন নানা দেশের এই অজানা রীতি
সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন। যখনই কাশি বা হাঁচি হবে, তখন রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করুন। টিস্যু ব্যবহার করলে তা ব্যবহার করার সঙ্গে সঙ্গেই ফেলে দিন। এরপরেই সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে ফেলুন। কারন রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করার পর হাতে থাকা ভাইরাস বা ব্যকটেরিয়া হাত না ধুলে আবার তা নাকে বা মুখে শরীরে প্রবেশ করবে।
এই সময় প্রচুর পরিমানে জল খান। কারণ এই সময় খুব তারাতারি শরীর ড্রাই হয়ে আসে। তাই শরীর ডিহাইড্রেট হওয়ার আগেই শরীরের প্রয়োজনীয় জলের যোগান দেওয়া শুরু করুন। প্রয়োজনে নুন-চিনির জল খান।