সংসারে নতুন খুদে সদস্য আসলে আনন্দের সঙ্গে দায়িত্বও অনেকটা বেড়ে যায়। শিশুকে শুধু শারীরিক ভাবেই সুস্থ নয়। তাকে কীভাবে মানসিক দিক থেকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখা যায় তা নিয়ে মা-বাবার ভাবা উচিত। একেবারে শৈশব থেকেই এমন কিছু করা উচিত নয়, যা মানসিক বিকাশে বাধা দেয়। বরং শিশুর যাতে স্বাভাবিক নিয়মে মানসিক বিকাশ ঘটে তার জন্য ছোট থেকেই কয়েকটি কাজ করা উচিত। জানাচ্ছেন শিশু বিশেষজ্ঞরা। জেনে নেওয়া যাক সেগুলি কী কী-
আরও পড়ুনঃ আপনার সন্তান কি সারাক্ষণ স্মার্টফোনে মগ্ন, তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে মেনে চলুন এই উপায়গুলি
১) শিশু যে পরিবেশে বেড়ে উঠছে তা যেন সুস্থ হয়। শিশু তার চার পাশে যা দেখে, তা-ই নকল করার চেষ্টা করে। তাই শিশুর চারপাশে সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখা জরুরি। এমন কিছু করা উচিত নয়, যাতে তার মনে প্রভাব পড়ে। শিশুর সামনে নিন্দা করা, অশান্তি, মারধর না করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
২) ছবি আঁকলে শিশুর বুদ্ধি বাড়ে শীঘ্র। ছবি আঁকা শিশুকে আরও মনোযোগী করে তোলে। শিশু যত ছোট থেকে ছবি আঁকার প্রতি আগ্রহী হয়, তত বেশি বুদ্ধিমান হয়। ছবি আঁকলে শিশুর ধৈর্যের বিকাশ ঘটে। তাই যে কোনও বিষয়ে ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিতে পারে সে। এছাড়া শিশুর সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়।
৩) শিশুকে ছোট থেকেই বই পড়ার অভ্যেস করানো উচিত। বই পড়ার অভ্যেস থাকলে অবশ্যই বিভিন্ন বিষয়ে জানার আগ্রহ বাড়ে। এছাড়া শিশু মনোযোগী হয়ে ওঠে। এখনকার শিশুরা হাতে ফোন পেলে কিছু চায় না। কিন্তু চেষ্টা করুন সে যে ছোট থেকেই বইয়ের প্রতি আকৃষ্ট হয়। একে বুদ্ধি ও জ্ঞান বাড়ার সঙ্গে সে একজন ভাল মানুষ হয়ে ওঠে।
৪) আজকাল শিশুরা স্কুলে যায়। স্কুল থেকে ফিরে প্রাইভেট টিউশনে পড়তে যায়। বাড়ি ফিরে তারা মোবাইল বা ল্যাপটপে মন দেয়। আজকের শিশু অন্য শিশুদের সঙ্গে মিলেমিশে বিকেলে খেলতে যাওয়া জানে না। কিন্তু অন্তত সপ্তাহে ২-৩ দিন বিকেলে শিশুকে আরও বাচ্চাদের সঙ্গে খেলতে পাঠান। এতে তার মিশে থাকার ক্ষমতা বাড়বে। সে অন্যদের সঙ্গে সমস্তটা ভাগ করে নিতে শিখবে।
৫) শিশুর যদি নাচ, গান বা অন্যান্য দিকে আগ্রহ থাকে, তাকে সেটা করতে দিন। এগুলি মানসিক স্বাস্থ্যকে ভালবাসে। পরীক্ষার নম্বরের পিছনে দৌড়তে গিয়ে যন্ত্র বানিয়ে ফেলবেন না তাকে। তাকে ভাল গান শোনান। ভাল নাটক বা ছবি দেখাতে নিয়ে যান ছুটির দিনে। এতে তার অভ্যেস ভাল হবে।