অফিসে বসে দীর্ঘসময় কাজ করার পর ক্লান্তি আসাটাই স্বাভাবিক। তাই সারাদিনে অক্লান্ত পরিশ্রমের পর রাতের ঘুম ভীষণ জরুরি। হাজারো কাজ শেষ করতে গিয়ে রাতে দেরিতে ঘুমোতে যাচ্ছেন আবার সকাল উঠেই বেরিয়ে পড়ছেন অফিসে। এসবের কারণেই ঘুমটা পর্যাপ্ত পরিমাণে হচ্ছে না। এই অনিয়মিত ঘুমের কারণেই শরীরে দানা বাঁধছে নানান রোগ। এছাড়া অতিরিক্ত কাজের চাপে মানসিকভাবে হতাশ হয়ে পড়েন অনেকে। কিন্তু এই হতাশা কাটানোর বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। এই উপায়গুলি মেনে চললেই সারাদিন কাজের পরেও আপনার মন থাকবে ফুরফুরে।
আরও পড়ুন- ফাস্ট্য়াগ না থাকলে দিতে হবে দ্বিগুণ টোল ট্যাক্স, কার্যকর আজ থেকেই
নিজের জন্য সময় বের করুন- যদি খুবই চাপের মধ্যে থাকেন তাহলে, বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করুন। যতই কাজের চাপ থাকুক না কেন নিজের জন্য সময় বের করাটা অত্যন্ত জরুরি। কোথায় কোথায় ঘুরতে যেতে পারেন তার একটা ছক কষে নিন। দেখবেন স্ট্রেস মুক্তির জন্য এটি ম্যাজিকের মতো কাজ করবে।
ঘন ঘন কফি বা চা পান করবেন না- একটানা কাজের পর কফি বা চা পান করতেই পছন্দ করেন অনেকেই। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, কফিতে ক্যাফেইন থাকার কারণে এটি স্বাভাবিকভাবেই অবসাদ অনুভূতিকে গাঢ় করে তোলে। এর পাশাপাশি ক্যফেনাইন স্ট্রেস কমাতেও সাহায্য করে। তাই প্রয়োজনে কাজের ফাঁকে উঠে চোখে মুখে জল দিয়ে আসুন। কিন্তু ঘন ঘন চা বা কফি পান করবেন না।
আরও পড়ুন- আর মাত্র ২৪ ঘন্টা, তারপরই বন্ধ হতে চলেছে ডিজিটাল রেশন কার্ড
নিজের প্রশংসা করতে শিখুন- সারাদিন যতটুকুই কাজ করুন না কেন, দিনের শেষে নিজের কাজের প্রশংসা করতে শিখুন। দেখবেন নিজের করা কাজের প্রতি একটা আস্থা তৈরি হবে। যা আপনাকে পরের দিনের কাজে অণুপ্রেরণা দেবে। তাই কতটা কাজ আপনি সারাদিনে করলেন তার হিসেবও থাকবে পাশাপাশি নিজের কাজের প্রতি মানসিক জোরও প্রবল হবে।
সারাদিন কী কী করলেন তার একটা তালিকা তৈরি করুন- অনেকসময়ে দেখা যায় অতিরিক্ত চাপ নেওয়ার ফলে কাজের ক্ষেত্রে ভুল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেইজন্য সবথেকে ভাল হয় যদি সারাদিনের কাজের একটা দিনলিপি তৈরি করতে পারেন। এতে করে কোন কোন কাজ বাকি রয়েছে সেটা খুব সহজেই আপনার মাথায় থাকবে। ফলে চাপ কমবে।
নিজের সাজের প্রতি যত্ন নিন- অতিরিক্ত কাজের চাপের ফলে চোখের তলায় কালচে দাগ পড়ে যায়, তা দীর্ঘ দিন ধরে চলার পর তা দেখতে খারাপ লাগে। তাই খানিকটা বরফ নিয়ে এই জায়গায় লাগিয়ে নিন। তাতে ত্বকের ক্লান্তি কমবে। পাশাপাশি সারাদিন ত্বক সতেজ রাখতে বেশি করে।