দৈনন্দিন জীবনের কাজের চাপের ফলে মস্তিষ্ক ক্রমশ কমজোর হয়ে পড়েছে। অফিসের চাপ, বাড়ির কাজের চাপে আমরা যেন মেশিনের মতোই হয়ে উঠছি। কিন্তু প্রত্যেকরই স্মৃতিশক্তিকে অনেক বেশি করে প্রখর করা দরকার। এবং মস্তিষ্ককেও দরকার ঠিক রাখা। কারণ স্মৃতিশক্তি একবার কম গেলে সেখান থেকেই দেখা দেবে শরীরের নানান সমস্যা। কিন্তু মস্তিষ্ক সতেজ ও সুস্থ রাখতে গেল আমাদের খাওয়া -দাওয়ার দিকে অনেক বেশি নজর দিতে হবে। চিকিৎসকরা বলেন, খাওয়া-দাওয়ার পাশাপশি মেডিটেশন করলেও মস্তিষ্কের ভারসাম্য বজায় থাকে। স্মৃতিশক্তিকে প্রখর করে তুলতে কোন কোন খাবার সবথেকে বেশি কার্যকরী জেনে নিন সেগুলি।
আখরোট
ফ্যাটি অ্যাসিড, ওমেগা থ্রি, আর মিনারেলস সহ অনেক ধরনের ফাইবার দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে এই আখরোট। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আখরোট রাখুন। আখরোটে থাকা এইসব উপাদান স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এবং শরীরে অনেক উপকার হয়।
মাছ
মাছে ভাতে বাঙালি। মাছ ছাড়া বাঙালির যেন একদিনও চলে না। মস্তিষ্ক ঠিক রাখার জন্য মাছ খাওয়া খুবই জরুরি। বিশেষত বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ শরীরের জন্য খাওয়া বেশি উপকারি। সামুদ্রিক মাছের মধ্যে ফ্যাটি অ্যাসিড, ওমেগা থ্রির পরিমাণ অনেক বেশি মাত্রায় থাকে। সেগুলি খেলে আমাদের মস্তিষ্ক সতেজ ও ভাল থাকে। মস্তিষ্কের নার্ভগুলি অনেক বেশি কার্যকরী হয়ে ওঠে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সামুদ্রিক মাছ রাখুন।
কফি
কফি মূলত ঠান্ডার সময়েই বেশি খাওয়া হয়। অনেকে বলেন শীতকালে কফি খেলে ঠান্ডা কম লাগে। কফি আমাদের অনেকক্ষণ জেগে থাকতে সাহায্য করে। কফি আমাদের মস্তিষ্ককে অনেক বেশি স্ট্রং রাখতে সাহায্য করে। কফি খেলে মস্তিষ্কের আশেপাশে কোনও জটিল অসুখ হয় না। কফি খাওয়া মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। তবে বেশি মাত্রায় কফি খাওয়া শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। তাই সারাদিনে দু-তিনবার এই কফি খেতে পারেন।
ডিম
ডিমের মধ্যে অনেক বেশি পরিমাণে কোলেস্টেরল থাকে। ডিমের মধ্যে থাকা এই উপাদান আমাদের ব্রেনের নিউরোনকে অনেক বেশি ক্ষমতাশালী করে তোলে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ডিম রাখা অবশ্যই জরুরি।
হলুদ
মস্তিষ্ককে সতেজ রাখার জন্য হলুদ একটি আয়ুর্বেদিক উপাদান। মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে রোজ সকালে খালিপেটে এককোয়া করে রসুন খান। এতে শরীরও ভাল থাকবে এর পাশাপাশি মস্তিষ্কও আরও বেশি উন্নত হবে।