জলসংকটের আতঙ্কে দেশের বেশ কিছু অংশ! বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন জল বাঁচানোর ৫টি উপায়

  • স্নান করতে সবচেয়ে বেশি জল খরচ হয়
  • এছাড়া বাথরুমের অন্যান্য কাজ, কাপড় কাচা, বাসন ধোয়া, গাড়ি ধোয়াতেও জল খরচ হয়
  •  কিন্তু এর মধ্যে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় পানীয় জল
  • চেন্নাই এখন সেই পানীয় জলের সংকটের দিকেও এগিয়ে চলেছে

swaralipi dasgupta | Published : Jun 28, 2019 8:55 AM IST

খরা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে চেন্নাইতে। চারটে রিজার্ভারের জল প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। জলের দাম হুহু করে বাড়ছে। সম্প্রতি একটি স্যাটেলাইট ছবিতেও ধরা পড়েছে চেন্নাইয়ের এই জলহীন পরিস্থিতি, যেখানে নদী নালা শুকিয়ে যাচ্ছে। বেশ কিছু রেস্তোরাঁও বন্ধ করে দিতে হয়েছে। কারণ এসি চালানো যাচ্ছে না। মার্চ মাসে নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ করে যে, এই গ্রীষ্মে প্রত্যেকে প্রতিদিন ৬১ লিটার জল ব্যবহার করতে পারবে। 

২০০৭-এ ইকোনমিক ও পলিটিকাল উইকলিতে একটি গবেষণার ফলাফল প্রকাশ পায়। সেখানে বলা হয়, স্নান করতে সবচেয়ে বেশি জল খরচ হয়। এছাড়া বাথরুমের অন্যান্য কাজ, কাপড় কাচা, বাসন ধোয়া, গাড়ি ধোয়া, ইত্যাদিতেও জল খরচ হয়। কিন্তু এর মধ্যে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় পানীয় জল। চেন্নাই এখন সেই পানীয় জলের সংকটের দিকেও এগিয়ে চলেছে। 

দেখে নেওয়া যাক, কী কী করলে কম জল খরচ হবে এমন জলসংকটের সময়ে- 

১) নেভি শাওয়ার ফর্মুলা প্রয়োগ করুন- নৌসেনারা এভাবেই কাজ করেন। সমুদ্র পথে যাত্রা করার সময়ে সীমিত জলের মধ্যে কাজ করতে হয়। কিন্তু কেমন এই নেভি শাওয়ার?এঁরা প্রথনে গা বা মাথা ভিজিয়ে নেন প্রথমে। ভিজে  গেলে চটজলদি কল বন্ধ করে দেন। তার পরে শ্যাম্পু বা সাবান মাখেন। এ সময়ে কল বন্ধ থাকে। আবার সাবান শ্যাম্পু মাখা হয়ে গেলে কল খুলে নেন। এছাড়া সীমিত জল ব্যবহার করার জন্য বালতিতে জল ভরে স্নান করুন। 

২) ড্রাই ওয়াশ- জল দিয়ে গাড়ি পরিষ্কার না করার চেষ্টা করুন। রয়্যাল এনফিল্ড প্রথম ড্রাই ওয়াশ সিস্টেমশুরু করে। প্রতিটি বাইক ধোয়ার জন্য ৬০ লিটার জল লাগে। এর বদলে ফোম স্প্রের মাধ্যমে বাইক পরিষ্কার করা হয়। চেন্নাইতে হুন্ডাইও এই একই ব্যবস্থা চালু করেছে। 

৩) বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করা- বাড়ির বাইরে জলের কিছু পাত্র রেখে দিন। বৃষ্টি পড়লে সেই জল পাত্রে ধরে রাখুন। সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রোনমেন্টের একটি ওয়েবসাইট রয়েছে। সেখান থেকে আপনি জল সংরক্ষণ করার কিছু উপায় জানতে পারবেন। 

৪) যে পন্য উৎপাদন করতে বেশি জল খরচ হয়, সেগুলির উৎপাদন কমিয়ে দিন। ওয়র্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফাউন্ডেশন জানাচ্ছে, একটি কটন টিশার্ট তৈরি করতে ২৭০০ লিটার জল লাগে। এই ধরনের জিনিসের উৎপাদন কমিয়ে দিন। 

৫) বহু বাড়িতেই কলের পাইপ ফেটে থাকে দিনের পরে দিন। রাস্তা ঘাটেও চলতে ফিরতে এই একই কাণ্ড দেখা যায়। এতে যে কতটা জল নষ্ট হয় তা বলাই বাহুল্য। তাই শীঘ্রই সারিয়ে নিন এমন ফাটা পাইপ। 

Share this article
click me!