প্রায়শই এমন হয় যে আমরা কয়েকটি সিঁড়ি বেয়ে উঠার সঙ্গে সঙ্গেই হাঁপাতে শুরু করে, এটি মোটেও স্বাভাবিক লক্ষণ নয়, এর পিছনে আরও অনেক কারণ লুকিয়ে থাকতে পারে।
বর্তমান যুগে অস্বাস্থ্যকর খাবার ও শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার কারণে মানুষ ভেতরে ভেতরে দুর্বল হয়ে পড়ছে। যার কারণে শরীরে খুব খারাপ প্রভাব পড়ে। দৌড়াদৌড়ি এবং ব্যস্ত জীবনে বেশিরভাগ লোকেরা তাদের স্বাস্থ্যের প্রতি পুরোপুরি মনোযোগ দিতে অক্ষম। এই কারণেই বর্তমানে অনেকেই সিঁড়ি বেয়ে ওঠার পরিবর্তে লিফট ব্যবহার করতে পছন্দ করে। কারণ দু-চারটি সিঁড়ি বেয়ে উঠলেই অনেকেরই শ্বাস-প্রশ্বাস বাড়তে থাকে এবং হৃদস্পন্দনও বেড়ে যায়। প্রায়শই এমন হয় যে আমরা কয়েকটি সিঁড়ি বেয়ে উঠার সঙ্গে সঙ্গেই হাঁপাতে শুরু করে, এটি মোটেও স্বাভাবিক লক্ষণ নয়, এর পিছনে আরও অনেক কারণ লুকিয়ে থাকতে পারে।
এর সবচেয়ে বড় কারণ হলো শরীরে পুষ্টি ও শক্তির অভাব। তবে অনেক সময় শরীরে সামান্য কাজ করার পরও পুষ্টি পেয়েও মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়ে, যা অভ্যন্তরীণ অসুস্থতার লক্ষণও হতে পারে। এর পেছনে কারণ হতে পারে নিদ্রাহীনতা, মানসিক রোগ এবং রক্তশূন্যতা, যার কারণে তাড়াতাড়ি ক্লান্তি দেখা দেয়।
এসব বিষয়ে বিশেষ যত্ন নিন
কয়েকটি সিঁড়ি ওঠার পর যদি আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়েন তবে এটি কোনও গুরুতর রোগের লক্ষণ নয়, তবে কিছু লোকের জন্য এটি বেশ বিপজ্জনক হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সময় যদি আপনি ক্লান্ত বোধ করেন তবে নীচে দেওয়া কিছু বিষয়ের যত্ন নিয়ে আপনাকে অনুসরণ করা উচিত।
১) স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করুন এবং শুধুমাত্র পুষ্টিকর খাবার খান।
২) ঘুমানোর সময় এবং ঘুম থেকে ওঠার সময় ঠিক করুন।
৩) আপনার শরীরের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হতে দেবেন না।
৪) নিয়মিত ব্যায়াম ও শরীরচর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৫) প্রতিদিন পরিপূর্ণ ঘুমান এবং দিনের বেলা ঘুমানোর অভ্যাস পরিহার করুন।
আরও পড়ুন- করোনা রোগীর রক্ত থেকেই জানা যাবে রোগের তীব্রতা ও মৃত্যুর সম্ভাবনা, জানাচ্ছে গবেষণা
আরও পড়ুন- মারাত্মক, প্রতিনিয়ত পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা কমে যাচ্ছে, গবেষণায় উঠে এল মারাত্মক তথ্য
আরও পড়ুন- পিরিয়ড ক্র্যাম্প ও ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে, কাজে লাগান এই অব্যর্থ ঘরোয়া উপায়গুলি
সমস্যা অব্যাহত থাকলে কী করবেন?
এত কিছু করার পরও যদি শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে যায়, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। কারণ এটি ক্রনিক ফ্যাটিগো সিনড্রোমের লক্ষণও হতে পারে। যা মানুষের জীবনে ধীরে ধীরে অচল করে দেয়। তাই ভালো ও সুস্থ থাকলে অল্প সমস্যা থাকতে থাকতেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।