২ মাসে রাজ্যে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫০, অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য চাইল স্বাস্থ্য কমিশন

সোমবার বিসি রায় শিশু হাসপাতালে ফেল মৃত্যু হল দুজন শিশুর। উত্তর ২৪ পরগনার কদম্বগাছির দেড় বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তেমনই হাড়োয়ার বাসিন্দা ২ বছর ২ মাসের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দুজনের মৃত্যুর কারণই অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেস। 

ফের বাড়ছে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা। এক বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, এই নিয়ে ২ মাসে রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৫০ জন। দিনে দিনে ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস। বাড়ছে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা। সোমবার বিসি রায় শিশু হাসপাতালে ফেল মৃত্যু হল দুজন শিশুর। উত্তর ২৪ পরগনার কদম্বগাছির দেড় বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তেমনই হাড়োয়ার বাসিন্দা ২ বছর ২ মাসের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দুজনের মৃত্যুর কারণই অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেস। জানা গিয়েছে, জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছিল।

গত দু মাস অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে মার্চের ১৪ তারিখের মধ্যে অ্যাডিনো ভাইরাসে প্রায় ১৫০ জন বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে। অধিকাংশ বাচ্চাই জ্বর, সর্দি, শ্বাসরষ্টের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছিল। বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতর ও আইএমএ-র রাজ্য শাখার তরফে একটি ভার্চুয়ালি বৈঠক হয়। অ্যাডিনো ভাইরাসের উৎসর্গ নিয়ে কতজন শিশু বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে তার তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়।

Latest Videos

স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ কত শিশু অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে ভর্তি হয়েছে। কত মৃত্যু হয়েছে। তার তথ্য ৭ দিনের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে। picu না থাকলে তৈরি করতে হবে। এমনকী, অ্যাডিনো ভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসায় পরীক্ষামূলক ওষুধ প্রয়োগ করা যায় কি না, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর।

পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়িত করতে নবান্নের নির্দেশে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী। আছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য। আছেন চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায়ষ আছেন এসএসকেএম-র ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিজিৎ চৌধুরী, গোপালকৃষ্ণ ঢালি। এই রোগের কবল থেকে কীভাবে শিশুদের রক্ষা করা যায় সে দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে গোটা দেশে ক্রমে বেড়ে চলেছে উদ্বেগ। শিশুদের এই অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। রিপোর্ট পেশ করলে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটে অব কলেরা অ্যান্ড এন্ট্রিক ডিজিসেস বা নাইসেড। নাইসেডের ওই রিপোর্ট উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলোর তুলনায় বাংলায় অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ সব থেকে বেশি। অ্যাডিনোভাইরাস কবলিত দেশের প্রথম পাঁচটি রাজ্য হল পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরালা, দিল্লি ও মহারাষ্ট্র। তাই সতর্ক থাকুন সকলে। 

 

আরও পড়ুন

বাচ্চার জলখাবারে রাখতে পারেন এই কয়টি পদ, স্বাদের সঙ্গে স্বাস্থ্য হবে উন্নত, দেখে নিন কী কী

শুধু হাঁটলেই মুক্তি মিলবে এই পাঁচ কঠিন রোগ থেকে, দেখে নিন কোন উপায় শরীর রাখবেন সুস্থ

Menstrual Itching:মাসিকের সময় যোনির চুলকানিতে জীবন যেন যায় যায়-এর অনুভূতি, কীভাবে সামলাবেন এই অস্বস্তি

 

Share this article
click me!

Latest Videos

Canning News Today: আধার কার্ড সংযোজন করতেই আবাসের টাকা লোপাট! ঘটনায় চাঞ্চল্য South 24 Parganas
‘অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রী এতদিন ধরে স্বাস্থ্য ও পুলিশকে জলাঞ্জলি দিয়েছেন’ মমতাকে চরম তুলোধোনা শুভেন্দুর
'দায় এড়ানোর জন্য যা খুশি তা করতে পারেন না মুখ্যমন্ত্রী', ক্ষোভ উগরে দিলেন ডাক্তাররাই
কেন জুনিয়র ডাক্তারদের সাসপেন্ড করলেন মুখ্যমন্ত্রী? ফাঁস করে বিস্ফোরক মন্তব্য শমীক ভট্টাচার্যের
থর থর কাঁপছে বাংলাদেশ, শক্তি বাড়িয়ে নিল ভারতীয় নৌবাহিনী, দেখুন ভিডিও