ফাস্টিং ব্লাডসুগার পরীক্ষার সময় কোনও ভাবেই এই ভুলগুলো করবেন না, জেনে নিন সঠিক পদ্ধতি

Published : Aug 30, 2023, 08:37 PM IST
blood sugar diabetes

সংক্ষিপ্ত

ফাস্টিং ব্লাড সুগার সকালে খালি পেটে পরীক্ষা করা হয়। রক্তে শর্করার পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল প্রাক-ডায়াবেটিস, টাইপ ১ ডায়াবেটিস এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসে রক্তে শর্করার মাত্রা সনাক্ত করা।

ভুল খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার কারণে অনেক রোগের আশঙ্কা থাকে। এসব রোগের মধ্যে একটি হলো ডায়াবেটিস। বর্তমানে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত রক্তে শর্করা পরীক্ষা করা দরকার। উপবাসের ব্লাড সুগার এবং খাবারের পরে চিনির নিরীক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ। ব্লাড সুগার টেস্ট দুই ধরনের হয়, একটি হল ফাস্টিং ব্লাড সুগার টেস্ট এবং অন্যটি হল পোস্টপ্রান্ডিয়াল ব্লাড সুগার টেস্ট।

ফাস্টিং ব্লাড সুগার সকালে খালি পেটে পরীক্ষা করা হয়। রক্তে শর্করার পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল প্রাক-ডায়াবেটিস, টাইপ ১ ডায়াবেটিস এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসে রক্তে শর্করার মাত্রা সনাক্ত করা। অনেক সময় ফাস্টিং ব্লাড সুগারের পরিমাণ (ফাস্টিং ব্লাড সুগার টেস্ট) বেশি থাকে। সকালে খালি পেটে রক্ত পরীক্ষা করে এর অবস্থা জানা থাকলে ওষুধ ও খাবার দিয়ে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

ফাস্টিং সুগার চেক করার সঠিক পদ্ধতি

প্রায়শই লোকেরা ১২-১৪ ঘন্টা কিছু না খেয়ে তারপরে সকালে রক্তে শর্করার পরীক্ষা করার দিকে মনোনিবেশ করে। এই পদ্ধতিতেউ তারা মনে করেন যে তাদের সুগার টেস্টের রিপোর্ট সঠিক আসবে। কিন্তু ফাস্টিং সুগার টেস্ট তখনই সঠিক রিপোর্ট দেবে, আসে যখন আপনি রাতের ডায়েটে মনোযোগ দেন এবং সকালে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখেন।

আপনি যদি ফাস্টিং সুগার চেক করছেন, তাহলে আপনার সকালে জলও পান করা উচিত নয়। ফাস্ট সুগার মানে ৮-১০ ঘন্টা কিছু না খাওয়ার পরে রক্তের অবস্থা সম্পর্কে তথ্য নেওয়া। ফাস্টিং ব্লাড সুগার পরীক্ষা করার সময় মনে রাখবেন সকালে ঘুম থেকে ওঠার এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষাটি করতে হবে। আপনি যদি বেলা ১২টায় একটি ফাস্টিং সুগার টেস্ট করেন তবে আপনি কখনই সঠিক ফলাফল পাবেন না। এরজন্য সকালের ঘুম থেকে ওঠার ঘন্টা খানেকের মধ্যেই এই পরীক্ষা করানো অত্যন্ত জরুরি।

ফাস্টিং ব্লাড সুগার টেস্ট করার সময় এই ভুলগুলি করা থেকে বিরত থাকুন

যদি আপনি একটি ফাস্টিং রক্তের শর্করা পরীক্ষা করছেন, রাতে দুধ পান করবেন না। দুধে পেপটিন নামক একটি উপাদান থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

একইভাবে, আপনি যদি ফাস্টিং সুগার টেস্ট করছেন, হাঁটা এড়িয়ে চলুন। হাঁটা এবং ব্যায়াম ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এগুলি মেনে চললেই ফাস্টিং ব্লাগ সুগার পরীক্ষার রিপোর্ট সঠিক আসবে, ও সঠিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা সম্ভব

PREV
click me!

Recommended Stories

৬০ সেকেন্ডের কম সময়ে মেজাজ হবে ভালো, রইল টিপস
ফ্যাটি লিভারের সমস্যা ভুগছেন? নিয়মিত এই যোগাসনগুলো করলে মিলবে আরাম, জেনে নিন কী কী