শীতকালে আপনি নিশ্চিন্তে আপনার ডায়েটে রাখতে পারেন একটি বা দুটি লবঙ্গ। যা আবার পানীয় বা খাবারকে সুস্বাদু করার পাশাপাশি শরীর গরম রাখতেও সাহায্য করে।
হিমশীতল সকাল বা কনকন সন্ধ্যে- যে কোনও সময়ই প্রবল ঠান্ডা থেকে মুক্তির জন্য অত্যান্ত জরুরি হল চা বা কফি। অনেকেই দুধ বা কোকো দিয়েও তৃষ্ণা নিবারণ করার পাশাপাশি শীত ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে চান। কিন্তু শীতকালে আপনি নিশ্চিন্তে আপনার ডায়েটে রাখতে পারেন একটি বা দুটি লবঙ্গ। যা আবার পানীয় বা খাবারকে সুস্বাদু করার পাশাপাশি শরীর গরম রাখতেও সাহায্য করে। পাশাপাশি ঠান্ডা লাগার হাত থেকে রক্ষা করে। লবঙ্গ বাঙালির রান্নাঘরের নিত্যসঙ্গী। এটির একটি শক্তিশালী স্বাদ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।
লবঙ্গর স্বাস্থ্য উপকারিতা
১. রোগ প্রতিরোধ
লবঙ্গে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। রয়েছে ইউজেনল ও ভিটামিন সির মত যৌগ। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। শীতের দিনগুলিতে যখন সর্দিকাশির, ফ্লুর প্রকোপ বাড়ে তখন খাদ্যতালিকায় নিয়মিত রাখতেই পারেন লবঙ্গ। চা বা কফির সঙ্গে এটি খাওয়া যায়। স্যুপের সঙ্গেও এটি খেতে পারে। যে কোনও রান্নায় লবঙ্গ ব্যবহার করতেই পারেন।
২. শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্য
লবঙ্গের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলি শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে লবঙ্গ তেল- এটি কাশির মস্যা কমাতে পারে। শ্বাসকষ্ট দূর করে। তাই শীতকালে নিয়মিত খেতেই পারেন লবঙ্গ। এই সময় নিয়মিত লবঙ্গ খেলে শীতকালীন শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পেতে পারেন।
৩. ব্যাথা কমায়
লবঙ্গের প্রাকৃতিক বেদনানাশক এবং প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা শীতকালীন ব্যথা কমাতে পারে। গাঁটের ব্যাথা পেশী ব্যাথা থেকে সহজে মুক্তি দিতে পারে লবঙ্গ। অল্প গরমজলে বা পানীয়তে লবঙ্গ দিয়ে ফুটিয়ে খেতেই পারেন।
৪. ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণ
রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে লবঙ্গ। রক্তে শর্করার মাত্র নিয়ন্ত্রণে রাখতে লবঙ্গ কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা নিয়ে প্রচুর পরিমাণে গবেষণা হয়েছে। এটি গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। এটি সুষম ও স্বাস্থ্যকর বিপাক ক্রিয়া সম্পন্ন করতে সাহায্য করে।
৫. হজমে উপশম
খাবার পরে মুখে একটি লবঙ্গ দিতেই পারেন। এটি গ্যাস ও অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে। এটি মুখের গন্ধ দূর করে। এটি উজ্জীবিত করতে সাহায্য করে।