Pregnancy tips: ৪০ এর মা হতে চান? তাহলে অবশ্যই মাথায় রাখুন এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি

Published : Nov 24, 2023, 04:04 PM IST
abortion and MTP laws in India termination of pregnancy debate

সংক্ষিপ্ত

সন্তানধারনের জন্য ৪০ এর বেশি বয়সী মহিলাদের ডায়াবেটিস আর উচ্চ রক্তচাপেসর মত সমস্যাগুলি থাকলে সন্তান ধারণ কিছুটা হলেও কঠিন হয়ে যায়। এটি অনেক ক্ষেত্রেই মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি পূর্ণ হয়ে যায়। 

গর্ভাবস্থা প্রত্যেক মহিলার জীবনেই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বর্তমানে মহিলারা নিজেদের কেরিয়ার নিয়েই যথেষ্ট ব্যস্ত থাকে। অনেক মহিলার দেরিতে বিয়েও হয়। তাই সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে বিয়ে করে সংসারি হতে চায়। সেই সূত্র ধরেই মা হতেও দেরি করে অনেক মহিলা। অনেকেই ৪০ এর পরে মা হতে চায়। এই অবস্থায় কিন্তু প্রাচীন ধারনা অনুযায়ী অনেকেই বলেন ৪০ এর পরে মা হওয়া সমস্যার। কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞান কিন্তু তাই বলছে না। তবে ৪০ এর পরে মা হতে গেলে বেশ কয়েকটি ঝুঁকি থেকে যায়। সেই কথাই বলেন চিকিৎসকরা। আর সেই ঝুঁকি সহজে কাটিয়ে ওঠা যায়।

৪০ এর পর মাতৃত্ব বা গর্ভধারণ করায় সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হল উর্বরতাঃ

স্বাভাাবিকভাকে গর্ভধারণ করা একটু হলেও চ্যালেঞ্জিং। কারণ বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মহিলাদের উর্বরতা হ্রাস পায়। ৩৫ বছর বয়সের পরে এমনিতেই মহিলাদের উর্বরতা হ্রাস পায়। এই সময় থেকেই মহিলাদের ডিম্বাণুর পরিমাণ আর গুণগতমান হ্রাস পায়। যা স্বাভাবিক গর্ভাবস্থা অর্জন করা কঠিন করে দেয়। ৪০ বছরের বেশি মহিলাদের জন্য প্রতি মাসেই গর্ভাবতী হওয়ার চ্যালেঞ্জ হ্রাস পায়।

চিকিৎসকের সহায়তায় ৪০ এর পর গর্ভধারণ করা যায়। অনেক মহিলাই আধুনিক জীবনে ৪০ এর পরই মা হওয়ার দিকে ঝুঁকছেন। ৪০ এর পরে গর্ভধারণ করা অনেক মহিলাই ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (IVF) বা অন্যান্য উর্বরতা চিকিৎসার মত চিকিৎসকের সাহায্যে মহিলারা ৪০ এর পরেও গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারে। সেক্ষেত্রে মহিলার নিজের মানসিক, শারীরিক ও আর্থিক দিক চিন্তা করে দেখা হয়।

মনিটারিং অত্যান্ত জরুরি। ডাক্তাররা প্রায়ই ৪০ বছরের বেশি মহিলাদের জন্য চেকআপ জরুরি। এইক্ষেত্রে চেকআপ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই জটিল সময়গুলিকে মহিলাদের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। পাশাপাশি মানসিক পরিচর্যারও প্রয়োজন রয়েছে।

সন্তানধারনের জন্য ৪০ এর বেশি বয়সী মহিলাদের ডায়াবেটিস আর উচ্চ রক্তচাপেসর মত সমস্যাগুলি থাকলে সন্তান ধারণ কিছুটা হলেও কঠিন হয়ে যায়। এটি অনেক ক্ষেত্রেই মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি পূর্ণ হয়ে যায়।

৪০ এর পর গর্ভাবস্থায় মহিলাদের সবথেকে বড় ঝুঁকি হল গর্ভপাত। এই সময় গর্ভপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এটি প্রায়ই উন্নয়নশীল ভ্রূণের ক্রোমোসোমাল অস্বাভাবিকতার জন্য দায়ী করা হয়। সম্ভাব্য সমস্যা শনাক্ত করার জন্য প্রথম থেকেই যত্নে থাকাটা জরুরি। এর জন্য পর্যক্ষেণ অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৪০ এর পর গর্ভধারণের ক্ষেত্রে মহিলাদের সবথেকে বড় ঝুঁকি হল ডায়াবেটিক। গর্ভধারণের পরই মহিলাদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবথেকে বেশি থাকে। এই অবস্থায় মা ও শিশু উভয়ের জন্য জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। যারমধ্যে জন্মের পরেও ওজন ও সিজারিয়ান সেকশনের ঝুঁকি বেশি রয়েছে।

৪০ বছরের পর গর্ভাবস্থায় সবথেকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হল রক্তচাপ ও প্রিক্ল্যাস্পিসিয়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই অবস্থাগুলি কার্যকরভাবে পরিচালনা করার জন্য গর্ভধারণের পর নিয়মিত রক্তচাপ পর্যবেক্ষণ ও প্রসবপূর্ণ যত্ন অপরিহার্য।

৪০ এর পর গর্ভধারণে সবথেকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হল অকাল জন্মের ঝুঁকি। সন্তান নির্ধারিত সময়ের আগেই জন্ম নেয়। যা সন্তানের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ। আকাল প্রসব প্রতিরোধ করা যায় না। তবে চিকিৎসকের পরিষেবায় সমস্যা সমাধান হতে পারে।

৪০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে সাধারণ, তাদের যমজ বা উচ্চ-ক্রম গুণিতক গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেশি থাকে। একাধিক গর্ভধারণ তাদের নিজস্ব চ্যালেঞ্জ এবং বর্ধিত ঝুঁকি নিয়ে আসে, যেমন অকাল জন্ম।

চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রগতি অনেক অসাধ্য সাধন করেছে। এক্ষেত্রে মহিলাদের মাতৃত্বের স্বাদ দিতেও পারছে বিজ্ঞানের অগ্রগতি।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

৬০ সেকেন্ডের কম সময়ে মেজাজ হবে ভালো, রইল টিপস
ফ্যাটি লিভারের সমস্যা ভুগছেন? নিয়মিত এই যোগাসনগুলো করলে মিলবে আরাম, জেনে নিন কী কী