সন্ধে থেকে এই ৫টি নিয়ম মেনে চলুন ডায়াবেটিসের রোগীরা, নিতে হবে না ইনসুলিন
সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন কাজ। এটি কখনোই শিকড় থেকে নির্মূল করা যায় না, শুধুমাত্র জীবনধারা এবং খাদ্যাভ্যাসের উন্নতির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে। আজ জেনে নিন কিছু কার্যকরী টিপসের কথা, যার সাহায্যে আপনি সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।
আপনি যদি রাতে ঘুমানোর আগে এই টিপসগুলি অনুসরণ করেন তবে এটি আপনার চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আপনি যদি ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে এই সহজ সমাধানগুলি অবলম্বন করতে পারেন। আসুন তাদের সম্পর্কে জানি
চা এবং কফিতে ক্যাফেইন পাওয়া যায় এবং এটি খেলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। অনেক গবেষণায় উঠে এসেছে যে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো ঘুম এবং অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম খুবই জরুরি। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের ভালো ঘুমের জন্য ঘুমের প্রায় ৩ ঘণ্টা আগে চা বা কফি পান করা উচিত নয়।
ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্যাভ্যাসের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। কারণ খাওয়ার ক্ষেত্রে একটু অসাবধানতাও আপনার সুগার লেভেল বাড়িয়ে দিতে পারে। অতএব, সারা রাত রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে, আপনার রাতের খাবারে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের মিশ্রণ অন্তর্ভুক্ত করুন। এছাড়াও, রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি রোধ করতে রাতের খাবারের সময় অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য শারীরিক কার্যকলাপও খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে রাতের খাবারের পর হালকা ব্যায়াম। খাওয়ার পরে অল্প হাঁটা আপনাকে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ইনসুলিন নেওয়া থেকে বাঁচাতে পারে।
এছাড়া রাতে ঘুমানোর আগে রিলাক্সিং মেডিটেশন বা শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়ামও করতে পারেন। আসলে, এটি স্ট্রেস উপশম করতে এবং ভাল ঘুম পেতে সাহায্য করে এবং ভাল ঘুম সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
এগুলি ছাড়াও, ঘুমানোর আগে আপনাকে অবশ্যই আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করতে হবে, এটি আপনাকে আপনার চিনির মাত্রা বজায় রাখতে সহায়তা করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, আপনি একটি সাধারণ রাতের রুটিন অনুসরণ করে আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে পারেন।