আমলকীর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ক্যান্সার প্রতিরোধী গুণ। গবেষণায় বলা হয়, আমলকি ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে বাধা দেয়।
Benefits of Amla: আমলকীর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ক্যান্সার প্রতিরোধী গুণ। গবেষণায় বলা হয়, আমলকি ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। প্রতিদিন সকালে আমলকীর রস খাওয়া পেপটিক আলসার প্রতিরোধে কাজ করে। আমলকী শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দুরীভূত করতে সাহায্য করে এবং ওজন কমায়। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আমলকী খুব দ্রুত কাজ করে। স্কার্ভি বা দাঁতের যে কোনও সমস্যা সারাতে আমলকির জুরি মেলা ভার।
প্রাচীণকাল থেকেই ভেষজ উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয় আমলকি ও পাতা দুটিই। আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ‘সি’। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকিতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে ৩ গুণ ও ১০ গুণ, কমলার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ, বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। একজন বয়স্ক লোকের প্রতিদিন ৩০ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’-এর প্রয়োজন। তবে জেনে নেওয়া যাক আমলকির অসাধারণ গুণাগুণ সম্পর্কে।
পেটের ব্যাথা, সর্দি, কাশি ও রক্তহীনতার জন্যও খুবই উপকারী। চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বা বিভিন্ন ধরনের তেল তৈরিতে আমলকি ব্যবহার হয়। কাঁচা বা শুকনো আমলকি বেটে একটু মাখন মিশিয়ে মাথায় লাগালে খুব তাড়াতাড়ি ঘুম আসে। কাঁচা আমলকি বেটে রস পাকা চুলের সমস্যার সমাধান করে।
পুষ্টিবিদদের মতে আমলকী কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে সতেজ রাখতেও সাহায্য করে। দীর্ঘমেয়াদি সর্দি-কাশির সমস্যা থাকলে উপকার পাওয়ার জন্য আমলকীর নির্যাস প্রাচীণ কাল থেকেই ব্যবহার করা হয়। এটি হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধক হিসেবেও কাজ করে। একইসঙ্গে দাঁত,চুল ও ত্বক ভাল রাখে, খাওয়ার রুচি বাড়ায়। কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথাব্যথা, অম্ল,রক্তাল্পতা, বমিভাব-এর মত সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে। তাই এই আবহাওয়া বদলের এই মরশুমে শরীর সতেজ রাখতে প্রতিদিন ডায়েটে রাখুন আমলকি।