জরায়ুর ক্যান্সারের লক্ষণ ও এর প্রতিকারের বিষয়গুলি জেনে নিন। বর্তমানে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা কিন্তু লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
পুনম পাণ্ডের মৃত্যুর ভুয়ো খবর থেকে শুরু করে নির্মলা সীতারমণের বাজাটে দেশজুড়ে আলোচনা চলছে সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার বা জারায়ুর ক্যান্সার। আজ বিশ্ব ক্যান্সার প্রতিরোধ দিবস। এই বিশেষ দিনে এই জরায়ুর ক্যান্সারের লক্ষণ ও এর প্রতিকারের বিষয়গুলি জেনে নিন। বর্তমানে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা কিন্তু লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তবে এই ক্যান্সার কিন্তু সহজেই প্রতিহত করা যায়। কিন্তু এই দেশে জরায়ুর ক্যান্সার নিয়ে এখনও তেমন সচেতনার অভাব রয়েছে। কিন্তু প্রথম থেকেই যদি সনাক্ত করা যায়, নিয়মিত স্ক্রীনিং ও HPV টিকার মাধ্যমে জরায়ুর ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়।
সার্ভিক্যাল বা জরায়ুর ক্যান্সারের লক্ষণঃ
সার্ভিক্যাল ক্যান্সারের লক্ষণগুলি অস্বাভাবিক যোনি রক্তপাত ( পিরিয়ডের সময় অথবা সহবাসের পরে রক্তপাত। মেনোপজের পরেও রক্তপাত হতে পারে।), সহবাসের সময় ব্যাথা, অস্বাভাবিক যোনি স্রাব, জল বার হওয়া, রক্তাপাত হলে তাতে অনেক সময়ই দুর্গন্ধ থাকবে। পিঠে ব্যাথা। এগুলি প্রাথমিক পর্যায়ের লক্ষণ। কিন্তু অনেক সময় কোনও লক্ষণই দেখা দেয় না। তাই নিয়মিত চেকআপের প্রয়োজন রয়েছে।
সার্ভিক্যাল ক্যান্সারের প্রতিরোধঃ
জরায়ুর ক্যান্সার প্রতিরোধে HPV ভ্যাক্সিনেশন সবথেকে জরুরি। স্ক্রীনিং যেমন- প্যাপ টেস্ট, এইচপিভি পরীক্ষা। যৌনমিলনের সময় কনডমের ব্যবহারের মাধ্যমে এই জাতীয় ক্যান্সার এড়ানো যায়। সুষম স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা। ব্যায়ামের ও মেদ ঝরানো খুব জরুরি। যৌনভাবে সক্রিয় হওয়ার আগেই প্রাথমিক টিকা দেওয়া জরুরি। HPV সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
কত বছরে জরায়ুর ক্যান্সার হয়-
সাধারণত ২০-৩০ বছরের মহিলাদের মধ্যে সার্ভিক্যাল ক্যান্সার দেখা যায়। ২০ বছরের কম বয়সী মহিলাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। সাধারণত ২১ বছর বয়সের কাছাকাছি বা যখন তারা যৌনভাবে সক্রিয় হয়, যেটি প্রথমে আসে, কোন অস্বাভাবিকতা বা লক্ষণ সনাক্ত করতে। সার্ভিকাল ক্যান্সার তাড়াতাড়ি।
আরও পড়ুনঃ
Healthy fruit: সরস্বতী পুজো মানেই কুল খাওয়া, জানুন কুল আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী
Health Tips: টমেটোর রসে মরবে টাইফয়েড জ্বরের ব্যাকটেরিয়া, বলছে নতুন গবেষণা
HEALTHY FOOD: রোজ খেতে পারেন সুস্বাদু মাশরুম, রইল এটির ৫টি স্বাস্থ্যকর উপকরিতা