সর্দি কাশির সমস্যা সবথেকে বেশি দেখা যায় শিশুদের মধ্যে। স্কুল পড়ুয়াদের এই শীতকালে প্রায়ই ঠান্ডা লাগে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের কাছে সর্দি কাশি একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
শীতকাল। তাও টানা ঠান্ডা নয়। একবার গরম তো একবার ঠান্ডা । এই অবস্থায় অনেকেরই শরীর খারাপ হচ্ছে। জলবায়ুর এই পরিবর্তন ইতিমধ্যেই প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে মানুষের শরীরে। তাতে বাড়ছে রোগ। আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেকটা কমছে। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় সর্দিকাশি, গলাব্যাথা, পেটের সমস্যা - এগুলি এখন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘন ঘন সর্দিকাশি হলে আবার প্রভাব প়ড়ে শ্বাসযন্ত্রে। তাই প্রথম থেকেই সাবধান হওয়া জরুরি।
সর্দি কাশির সমস্যা সবথেকে বেশি দেখা যায় শিশুদের মধ্যে। স্কুল পড়ুয়াদের এই শীতকালে প্রায়ই ঠান্ডা লাগে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের কাছে সর্দিকাশি একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। সর্দি, কাশি, হাঁচি, গলাব্যাথা, শ্বাসকষ্ট, মাথাব্যাথা, সাইনাসের সমস্যা প্রায়ই দেখা যায়। এই জাতীয় সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় হল শরীরকে গরম রাখা। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। সর্দি-কাশির লক্ষ্মণ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তবে আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে কিছু ঘরোয়া উপায়ও রয়েছে।
সর্দি-কাশির সমস্যা মেটাতে ঘরোয়া উপায়ঃ
নুন, হলুদ, ত্রিফলা চূর্ণ জলের সঙ্গে মিশিয়ে বারবার গার্গেল করলে গলাব্যাথা কমে যায়। কষ্ঠস্বর কর্কশ হয় না।
ছয় মাসের কম বয়সী শিশুদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়া হবে। কিন্তু প্রাথমিক প্রতিকার হিসেবে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ালে কিছুটা স্বস্তি পায় অসুস্থ শিশুটি।
গলা ব্যাথার জন্য খুবই উপকারী শুকনো আদা। আদার শুকনো কুঁচি মুখের মধ্যে রেখে দিন। তাতে কাশির সমস্যা থেকে সহজে মুক্তি পাবেন। এই টোটকাতে বাড়বে হজম শক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তবে শিশুদের জন্য জলের সঙ্গে ফুটিয়ে সেই জল বারবার পান করাতে হবে।
সর্দিকাশির জন্য তুলসী পাতা খুবই উপকারী। জলে ফুটিয়ে তুলসী পাতা খেতে পারেন। তা না বলে সরাসরি সকাল আর সন্ধ্যেবেলা তুলসীপাতা মধু দিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
আদা শুকনো লঙ্কা গোলমরিচ গরম করে গুঁড়ো করে একসঙ্গে ব্যবহার করতে পারেন। এটি জলে মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন। তবে এই মিশ্রণ খুবই ঝাল। প্রয়োজনে মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। এটি বুকের জমা কফ বার করে দিতে সাহায্য করে।
নাক বন্ধ হয়ে গেলে বাড়িতেই গরম জলের ভাপ নিতে পারেন। প্রয়োজনে তাতে তুলসীপাতা ফেলে দিতে পারেন। এটি খুবই উপকারী। ঠান্ডা লেগে মাথাব্যাথা হলে দ্রুত আরাম পাবেন।
শীতকালে যাদের শ্বাসকষ্ট গয় তাদের প্রথম থেকেই সাবধান থাকতে হবে। গরম জামাকাপড়ের ব্যবহার জরুরি। এই রোগীদের প্রথম থেকেই মধু আর তুলসীপাতা খেতে হয়। তাতে শরীর গরম থাকে।
শীতকালে ভুলেও ঠান্ডা জল খাবেন না। ভ্রমণের সময় কান আর মাথা অবশ্যই ঢেকে রাখুন। ফ্রিজের খাবার সরাসরি খাবেন না। ধুলো আর দূষণ এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে মাস্কের ব্যবহার করুন। ঠান্ডা জলে স্নান না করাই শ্রেয়। রাতের দিকেও স্নান না করে সকালে স্নান করেন নিলে ঠান্ডা কম লাগে।