এই তেতো স্বাদের পাতা আমাদের শরীরের অনেক উপকার করে। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও এই পাতার পেস্ট খুবই উপকারী। বিজ্ঞানীরা থানকুনি পাতার কিছু উপকারিতা প্রকাশ করেছেন।
থানকুনি পাতা অনেক উদাসীনতায় বেড়ে ওঠে। কিন্তু এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অসাধারণ। এখন অবশ্য অনেক জায়গায় চাষ হচ্ছে এই পাতা। এই তেতো স্বাদের পাতা আমাদের শরীরের অনেক উপকার করে। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও এই পাতার পেস্ট খুবই উপকারী। বিজ্ঞানীরা থানকুনি পাতার কিছু উপকারিতা প্রকাশ করেছেন।
ক্ষত সারাতে
শরীরের কোথাও কাটা দাগ থাকলে রক্তপাত বন্ধ করতে থানকুনি পাতা ব্যবহার করা যায়। থানকুনি পাতা আক্রান্ত স্থানে লাগালে ব্যথা কমে যাবে এবং রক্তপাত বন্ধ হবে। এমনকি ক্ষত থেকেও সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে না।
শরীরে রক্ত চলাচল ঠিক থাকে-
অনেকেরই থ্রম্বোসিসের সমস্যা থাকে। অনেকের শরীরে অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কারণেও রক্ত চলাচলে সমস্যা হয়। থানকুনি পাতার রস খেলে রক্ত বিশুদ্ধ থাকে। ফলে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত শরীরের প্রতিটি কোষে পৌঁছে যায়। ফলে অনেক সমস্যা দূর হয়।
শরীরের প্রদাহ দূর করে
থানকুনি পাতা প্রদাহরোধী গুণে ভরপুর। ফলে জ্বালা ও ব্যথা খুব দ্রুত কমে যায়। এছাড়াও ক্লান্তি দূর করে। এটি অনেক ধরনের সংক্রমণ থেকেও দূরে রাখে।
অলসতা দূর করে
পেটের যেকোনো রোগে থানকুনি পাতা খুবই উপকারী। আমাশয় থেকে আলসার এই পাতার গুণে নিরাময় হয়। আর থানকুনি পাতা নিয়মিত খেলে হজমের সমস্যা দূর হয়।
মানসিক অবসাদ দূর করে
থানকুনি পাতার রস মানসিক অবসাদের জন্য খুবই ভালো। থানকুনি স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে মানসিক চাপ ও অস্থিরতা কমে যায়। ফলে দুশ্চিন্তার আশঙ্কাও কমে।
মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
থানকুনি পাতার নিয়মিত খেলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পেন্টাসাইক্লিক ট্রাইটারপিনের মাত্রা বাড়ায়, যা মস্তিষ্কের কোষগুলোকে ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। স্মৃতিশক্তির উন্নতি তো আছেই, সেই সঙ্গে বুদ্ধির ধারও লক্ষণীয়।
ঘুম ভালো হয়
অনেকের ঘুমের সমস্যা হয়। আপনারও যদি এমন সমস্যা থাকে তাহলে থানকুনি পাতা ভিজিয়ে জল পান করতে পারেন। এতে স্নায়ু শিথিল হবে। ঘুম আসবেই।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।