শিশুর বুদ্ধি নিয়ে চিন্তায় মরে যাচ্ছেন, জানুন বুদ্ধিমত্তা বাড়ানোর উপায়

  • শিশুর মানসিক উৎকর্ষতা আর বুদ্ধি বাড়াতে কে না চান
  • এর জন্য দরকার ছোট থেকে কতগুলি জিনিস অভ্যেস করা
  • যেমন আদর ও ভালবাসা ছোটদের পরবর্তী জীবনকে সু্ন্দর করে তোলে
  • গল্প বলা বা গল্প পড়লে ছোটদের তা ভালো লাগে

Sabuj Calcutta | Published : Jan 30, 2020 2:53 PM IST

শিশুর মানসিক উৎকর্ষতা আর বুদ্ধি বাড়ানোর জন্য় মা-বাবাদেরও কিছু করার থাকে।  শিশুর চাহিদা হল আদর ও ভালবাসা। প্রত্য়েক শিশুই এগুলো পেতে চায়। জেনে রাখবেন, নিঃশর্ত আদর ও ভালবারা পেলে শিশুর মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটে।  শিশু যখন গর্ভে থাকে তখন থেকেই সে কিন্তু শব্দ শুনতে পায়। শিশুর সঙ্গে স্বাভাবিক ও সুন্দরভাবে কথা বলার সুফল মেলে। যা বড় হয়ে শিশুর মানসিক উৎকর্ষতা বাড়াতে সাহায্য় করে। শিশুর কান্না শুনে বোঝা উচিত সে কী চাইছে, কেন চাইছে। এবং তাকে তা দেওয়া উচিত। এতে তার বিশ্বাস ও আবেগের ভিত শক্ত হয়। সময়ের আগে হওয়া শিশুকে, মানে যাদের  প্রি-ম্য়াচিওরড শিশু বলা হয়, তাদের কে মালিশ করলে বৃদ্ধি বেশি হয়, কাঁদেও কম। সমীক্ষায় এমনটাই দেখা গিয়েছে। বড়দের ভাবভঙ্গি লক্ষ্য় করে তা অনুকরণ করার চেষ্টা করে শিশু জন্ম থেকেই। এই ব্য়াপাকটাকে উৎসাহ দেওয়া উচিত। শিশুকে বিভিন্ন ধরনের জায়গায় নিয়ে গিয়ে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি দাঁড় করানো দরকার। এতে তার বুদ্ধি ও আবেগের পরিপূর্ণতা আসে। দেখা গিয়েছে, শিশুকে বিভিন্ন ধরনের স্পর্শ ও তাপের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি করা দরকার। এতে তার নিরাপত্তার বোধ তৈরি হয়।

শিশুর সামনে বই পড়া দরকার জোরে। সে হয়তো গল্পটা বুঝতেও পারবে না। কিন্তু ওই যে পড়ার  সময়ে গলার আওয়াজ, তা সে শুনতে ভালবাসে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শিশুর ওপর সঙ্গীত প্রভাব ফেলে। রীতিমতো পরীক্ষা করে দেখি গিয়েছে, মোৎজার্টের সঙ্গীত মস্তিষ্কের এমন কোষগুলিকে উদ্দীপ্ত করে, যা পরবর্তীকালে অঙ্ক কষতে সাহায্য় করে। শিশুর কাজে বিরক্তি প্রকাশ না-করাই উচিত। যদি তা করা হয়, তাহলে সে-ও পরবর্তীকালে অভিভাবকদের বিরক্ত করে। যে কাজ সে তার করা উচিত নয়, অথচ করে চলেছে, অভিভাবদের উচিত তা নিয়ে অযথা বকাবকি না-করে উপেক্ষা করা।

Share this article
click me!