চাইলে আপনিই পারেন কোলোরেক্টাল ক্য়ানসারের ঝুঁকি কমাতে

  • কোলোরেক্টাল ক্য়ানসার হল তৃতীয় প্রাণঘাতী ক্য়ানসার
  • এই রোগের উপসর্গ প্রথমে কিছু বোঝা যায় না
  • তবে আপনি চাইলে এই রোগের ঝুঁকি কেউ কমাতে পারেন
  • খাদ্য়াভ্য়াস আর অসল জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এনে

Sabuj Calcutta | Published : Feb 1, 2020 2:32 PM IST

কোলন হল বৃহদন্ত্র আর রেক্টাল বলতে মলদ্বারকে বোঝান হয় তাই কোলন আর মলদ্বার ঘিরে যে ক্য়ানসার হয় তাকেই কোলোরেক্টাল ক্য়ানসার বলা হয়।  বলে রাখা ভাল, প্রাণঘাতী ক্য়ানসারগুলোর মধ্য়ে কোলেরেক্টাল ক্য়ানসারের স্থান তৃতীয়মনে করা হয়, আমাদের পরিবর্তিত লাইফস্টাইল অনেকটাই দায়ী এই রোগের জন্য়তাই চাইলে এই ক্য়ানসার ঝুঁকি আমরাই কমাতে পারি

যে কোনও বয়সেই এই রোগের ঝুঁকি রয়েছে তবে পঞ্চাশ পেরোলে এই ঝুঁকি বাড়ে কাউর যদি পারিবারিক কোনও ইতিহাস থাকে, তাহলে তাঁর এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় আমাদের পরিবর্তিত খাদ্য়াভ্য়াসও এর জন্য় অনেকাংশে দায়ী অত্য়ধিক ফ্য়াট, ফাস্টফুড, কোলাজাতীয় কার্বোনেটেড পানীয় খাওয়ার যে অভ্য়েস আমাদের গড়ে উঠেছে এখন, তা এই রোগের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয় তাই এই খাবারগুলো যতটা সম্ভব কমিয়ে দিয়ে, ফলমূল, শাকসবজি একটু বেশি করে খেলেই এই রোগের ঝুঁকি কমে এখন ছোট থেকে বড়, প্রত্য়েকেরই শারীরিক পরিশ্রম আগের চেয়ে অনেক কম হয় আমরা এখন দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে কাজ করি হাঁটাহাঁটি বা শারীরিক পরিশ্রম হয় না বললেই চলে এই অলস জীবনযাত্রা বা সেডেন্টারি লাইফ স্টাইল শুধু কোলোরেক্টালই নয়, আরও অনেক ক্য়ানসারের ঝুঁকি বাড়ায়তাই আপনার কাজের ধরন যেমনই হোক না কেন, নিয়ম করে রোজ হাঁটুনঅন্তত আধঘণ্টাআর, শুয়ে শুয়ে টিভি দেখতে দেখতে চিপসের প্য়াকেট খালি করে দেওয়ার অভ্য়েস ছাড়ুন তাহলে এই ক্য়ানসারেরর ঝুঁকি অনেকটাই কমাতে পারবেন

বলে রাখা ভাল, শুরুর দিকে এই  রোগের তেমন কোনও উপসর্গ বোঝা যায় না কোলন  বা মলাশয়ের যেখানে ক্য়ানসার হয়েছে তার  ভিত্তিতে কিছু উপসর্গ দেখা যায় যেমন, খিদে কমে যাওয়া, বুখ ধড়ফড় করা, হাঁপিয়ে ওঠা, মাথা ঘোরা, কানে শব্দ হওয়া, ওজন কমে যাওয়া, মলের সঙ্গে তাজা রক্ত বেরনো, মলের আকৃতিতে পরিবর্তন, মলত্য়াগের অভ্য়েস পাল্টে যাওয়া, রক্তশূন্য়তা, পেট বা তলপেটে অসহ্য় ব্য়থা হওয়া, ডায়ারিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য়, এই ধরনের উপসর্গ দেখা যায়

একজনের কোলোরেক্টাল ক্য়ানসার হয়েছে কিনা হয়েছে কিনা তা জানার জন্য় ডাক্তাররা সাধারণত তিন ধরনের পরীক্ষা করে থাকেন নিয়ম করে রক্তপরীক্ষা, কোলোনোস্কপি আর এমআরাআই

আবারও বলি, আপনি চাইলে এর থেকে সাবধান হতে পারেন অন্তত যতটুকু আপনার হাতে আছে, ততটুকু করতে পারেন তাই নিয়মিত ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, যেমন ফলমূল শাকসবজি খান  ভাজাভুজি, তেলমশলা, ফাস্টফুড যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন রেডমিডকে  সোজা দরজা দেখিয়ে দিন  দিনে অন্তত আধঘণ্টা নিয়ম করে হাঁটুন জানবেন, হাঁটলে শরীরের ব্য়ায়াম হয় আর তাতে করে এই ক্য়ানসারের ঝুঁকি কমে

Share this article
click me!