সাধারণ এই ফল ভিটামিন এ ও সি এর ভাল উৎস। সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে এই ফল পাওয়া যায়। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ভারত, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কায়, বিশেষত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এই ফলের আধিক্য লক্ষ্য করা যায়। কামরাঙ্গায় রয়েছে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, সাইট্রিক অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, সুগার (কম পরিমাণে) সোডিয়াম ইত্যাদি। তবে এ ছড়াও এই ফলটিতে আছে এমন একটি উপাদান যা আমাদের মস্তিষ্কের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে টক-মিষ্টি স্বাদের এই ফলটি খুবই জনপ্রিয়। ফলটির বৈজ্ঞানিক নাম ক্যারাম্বোলা। ইংরাজিতে এই ফলটিকে বলা হয় স্টার ফ্রুট। আর এই ফলটিকে কামরাঙ্গা নামেই পরিচিত।
আরও পড়ুন- এই রোগে আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ২ কোটি মানুষ, জানুন সেলিয়াক-এর বিশেষত্ব
এবার আপনার মনে হতেই পারে এত রকমের উপাদান থাকা সত্ত্বেও এই বিষ আমাদের কিডনি ছেঁকে শরীর থেকে বের করে দেয়। তবে যাদের কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে, তাদের শরীর থেকে এই বিষ ঠিক মতো বের হতে পারে না। ফলে ওই বিষ রক্তের মাধ্যমে মস্তিষ্কে প্রবেশ করে। ব্রাজিলের সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানিয়েছেন, যেই ব্যক্তির কিডনির সমস্যা রয়েছে তাঁদের কামরাঙ্গার মধ্যে থাকা ক্ষতিকর ক্যারামবক্সিন-এর প্রভাবে সেই ব্যক্তির মৃত্যুও হতে পারে।
আরও পড়ুন- শীতকালে সর্দি-কাশির সমস্যা সমাধানে, রইল কিছু অব্যর্থ ঘরোয়া প্রতিকার
তাই আপনি যদি আগে থেকেই জানেন যে আপনার কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাহলে ভুলেও কামরাঙ্গা খাবেন না। আর যদি আপনার কিডনির স্বাস্থ্য সম্পর্কে কোনও ধারণা না থেকে থাকে তা হলে, কামরাঙ্গা খাওয়ার পর যদি ক্রমাগত হেঁচকি ওঠা, বা শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরানো, বমি বমি ভাব, মৃগী রোগীর মতো কাঁপুনি বা খিঁচুনি হওয়ার মত লক্ষণগুলি দেখা গেলে দ্রুত চিকিত্সকের কাছে যান।