করেনা ভাইরাস। গোটা বিশ্বের কাছে এক ভয়ঙ্কর নাম এই করোনা। এই নামটা শুনলেই প্রত্যেকেই যেন আতঙ্কিত। মুহূর্তের মধ্যে একজনের থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। মানুষের নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সঙ্গেই ছড়িয়ে যাচ্ছে এই রোগের জীবানু। কোনওভাবেই আটকানো যাচ্ছে না এই ভাইরাসকে। সার্সের থেকে ভয়ঙ্কর আতকার নিয়েছে এই করোনা ভাইরাস। ২০০২ সালে সার্সের কারণে বিশ্বজুড়ে মৃত্যু হয়েছিল ৭৭৮ জনের। এবার তারপর দীর্ঘ এত বছর বাদে করোনা ভাইরাসে শুধুমাত্র চিনে মারা গিয়েছে ৮০০ জনেরও বেশি।
আরও পড়ুন-করোনা ভাইরাসের থাবা এবার কলকাতাতে, হাসপাতালে ভর্তি যাদবপুরের প্রৌঢ়...
যত দিন যাচ্ছে হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৫৬ জন। চিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গিয়েছে, গোটা দেশে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ হাজারের গন্ডি পেরিয়ে ৪০ হাজারের দিকে যাচ্ছে। বিশ্বের সবথেকে বড় মহামারির আকার ধারণ করছে এই করোনা ভাইরাস। এটাই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকেগভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ২০০২-০৩ সালে সার্সের ফলে যত জনের মৃত্যু হয়েছিল তার থেকে করোনা ভাইরাসের প্রকোপে এখনও পর্যন্ত অনেক বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
গত শনিবার আরও ৮৯ জন মানুষ এই করোনা ভাইরাসের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮১ জনই হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা। শুধু তাই নয়, গতকালই প্রথম এই রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের সুস্থ ঘোষণা করে ৬০০ জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সবসময় বাইরে বেরানোর আগে মাস্ক পরে বেরান। এছাড়া বারবার হাত ধোওয়া অবশ্যই উচিত, অসুস্থ ব্যক্তি সংস্পর্শে যাবেন না, সর্দি-জ্বর হলেও ঘরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তাররা। এছাডা় বেশি বাড়াবাড়ি হলে ডাক্তারের কাছে যান। একই সঙ্গে বড়দের পাশাপাশি ছোটদেরও মাস্ক ব্যবহার করান।