ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র অন্দরে লুকিয়ে রয়েছে চরম যৌনতা, না জানলেই মিস

  • এই ভ্যালেন্টাইনের একটি ইতিহাস রয়েছে
  • ধর্মীয় উৎসবের অন্দরেই চলত চরম যৌনখেলা
  • দুশো খ্রিস্টাব্দেও এমনই যৌনতৃপ্তিকে সামনে রেখেই ফসলের দেবী জুনোর পুজো হতো
  • দেবীর ইচ্ছায় লটারির মাধ্যমে তরুণরা তাদের তরুণী সঙ্গিনীকে পেতেন

Riya Das | Published : Feb 14, 2020 4:24 AM IST / Updated: Feb 14 2020, 11:36 AM IST

আজ ভ্যালেন্টাইন ডে। এক সপ্তাহ ধরে চলছে ভালবাসার দিবস। আর এই ভালবাসার দিবসের আজ অন্তিম দিন। সারা বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে এই দিবস। কিন্তু আসলেই কি ভালবাসার কোনও দিন হয়। অনেকের মতে হয় আবার অনেকের মতে হয় না।কিন্তু এই ভ্যালেন্টাইনের একটি ইতিহাস রয়েছে। এর নামে আগে পালিত হতো শস্য, ফসলের প্রতি ভালবাসা দেখিয়ে। সঙ্গে চলত ধর্মীয় উৎসব। আর তার  অন্দরেই চলত চরম যৌনখেলা। কিন্তু সে খেলা চলত জনসমক্ষে।  দুশো খ্রিস্টাব্দেও এমনই যৌনতৃপ্তিকে সামনে রেখেই ফসলের দেবী জুনোর পুজো হত। কেমন ছিল সেই ইতিহাস জেনে নিন। 

আরও পড়ুন-শাহরুখ থেকে মমতা, নরেন্দ্র মোদী- সকলেরই চুম্বনের সেরা ৪০ টি ছবির অ্যালবাম...

প্যাগান ধর্মের মানুষ জন খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকে পূর্বপুরুষদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত লিওপারসালিয়া বা ফেব্রুয়ালিয়া পূজা পালন করত। এই ফেব্রুয়ালিয়া অনুষ্ঠানের নামানুসারে পরবর্তী কালে মাসটির নামকরণ করা হয় ফেব্রুয়ারি। এই পুজো চলত ফেব্রুয়ারি মাসের ১৩-১৫ তারিখ পর্যন্ত। পুজোর উদ্দেশ্য ছিল দেবতার সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে পুণ্যতা, উর্বরতা ও সমৃদ্ধ লাভ। অনুষ্ঠানটি খুব আর্কষণীয়ও ছিলয  ১৪ ফেব্রুয়ারির বিশেষ দিন জুনোর সম্মানে পবিত্রতার জন্য কুকুর আর উর্বরতার জন্য ছাগল উৎসর্গ করা হতো। সেই ছাগল কুকুরের রক্তে রঞ্জিত চামড়ার তৈরি পোশাক পরত  যুবকেরা। তারপর চামড়ার বেত দিয়ে দেবীর নাম করে তরুণীদের পশ্চাতে আঘাত করা হতো। এই ঘটনাকে যৌন উৎপীড়ন ছাড়া আর কি বা বলা যেতে পারে। 

 

 

এখানেই শেষ নয়,তাদের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, একারণেই দেবীওই তরুণীদের উর্বরতা বাড়িয়ে দেবেন। দিনটির আরও একটি বিশেষত্ব হল, এ দিনেই পরবর্তী এক বছর আনন্দ দেওয়ার  জন্য দেবীর ইচ্ছায় লটারির মাধ্যমে তরুণরা তাদের তরুণী সঙ্গিনীকে পেতেন। সেই প্রথা অনুযায়ী বড় একটি বক্সে তরুণীদের নাম লিখে রাখা হত। সেখান থেকে তরুণরা একেকটি নাম তুলে নিতেন এবং পরবর্তী বছর  পর্যন্ত লটারীতে নির্বাচিত যুগল একসঙ্গে থাকার সুযোগ পেতেন।

তারপরেই ক্লডিয়াস ও ভেলেন্টাইনের মৃত্যু পর্ব। ক্লডিয়াস ওই যৌন খেলা বন্ধ করতে বলেছিলেন এবং ভ্যালেন্টাইন এর বিরোধিতা করে আত্মবলিদান দেন। তারপর থেকেই লিওপারসালিয়া বা ফেব্রুয়ালিয়া পুজোর নাম ও পদ্ধতি পরিবর্তন করা হয় এবং নিজেদের ধর্মযাজক স্টিভ ভেলেন্টাইনের নামে এই ভ্যালেন্টাইন ডে-র নামকরণ করেন। ভেলেন্টাইনের মৃত্য দিবসই আজকের এই ভ্যালেন্টাইন্স ডে।


 

Share this article
click me!