করোনা সংক্রমণ এখন ঘরে ঘরে। সবচেয়ে বেশি চিন্তা শিশুদের নিয়ে। বিশেষজ্ঞদের দাবি করোনার তৃতীয় তরঙ্গে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা। অক্টোবরেই দেশে আছড়ে পড়তে পারে তৃতীয় তরঙ্গ। তার আগে কোনও ওষুধ নয়, খুব সহজ কিছু উপায়ে আপনার সন্তানের ইমিউনিটি বাড়াতে পারেন আপনি নিজে। বাড়িতে বসেই শিশুদের ইমিউনিটি বাড়ানো সম্ভব।
এদিকে, ভারতে তৈরি কোভ্যাক্সিন ইতিমধ্যেই ১৮ বছরের ওপর বয়েসীদের প্রয়োগ করা হয়েছে। এবার বাজারে আসতে চলেছে দু বছরের নীচের বয়েসীদের জন্য করোনার টিকা। কোভ্যাক্সিনের হাত ধরে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই দুই বছর বয়েসীদের জন্য টিকা মিলবে দেশে। এই খবর জানিয়েছেন দিল্লি এইমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। তাই একদিকে যেমন টিকার ভরসা রইল. তেমনই থাকুক এই সহজ পদ্ধতিগুলি, যার মাধ্যমে স্বাভাবিক পদ্ধতিতে বাড়বে ইমিউনিটি।
পর্যাপ্ত ঘুম
বাচ্চাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে গেলে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী ভূমিকা নেয় ঘুম। পর্যাপ্ত ঘুম শিশুদের শরীরে ইমিউনিটি বাড়িয়ে তোলে। ঘুম কম হলে মানসিক চাপ তৈরি হয়, যা মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহ কম করে। একটি শিশুর কমপক্ষে ১০ ঘন্টা থেকে ১৪ ঘন্টা ঘুমোনো উচিত।
গ্যাজেট থেকে দূরে থাকা
শিশুদের হাতে তুলে দেবেন না ফোন বা ল্যাপটপের মতো গ্যাজেট। এই যন্ত্রগুলির বিকিরণ করা রশ্মি শিশুর শরীরের যথেষ্ট ক্ষতি সাধান করে। আপনার সন্তান যাতে কম্পিউটার গেমসে বেশি আসক্ত না হয়ে ওঠে বা ফোনে বেশিক্ষণ সময় না কাটায়, সেদিকে নজর রাখতে হবে অভিভাবকদের।
অতিরিক্ত ওষুধ
সন্তানের শরীরে কোনও সমস্যা দেখা দিলেই অভিভাবকরা ওষুধ খাওয়াতে শুরু করেন। বিশেষজ্ঞদের দাবি এটা বন্ধ করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়ান। বাজার চলতি ওষুধ শিশুকে না খাওয়ানোই ভালো। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। বিশেষ করে যে কোনও রকমের অ্যান্টি বায়োটিক খাওয়ানোর আগে ভেবে দেখুন। কারণ এই জাতীয় ওষুধ শিশুদের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।
বাড়ির খাবার দিন
বাইরের খাবার নয়, বাড়িতে তৈরি করা সহজপাচ্য খাবার দিন শিশুকে। বিশেষ নজর রাখুন শিশুর ডায়েটে। পর্যাপ্ত প্রোটিন, কার্বোহায়ড্রেট যাতে শিশু পায়, সেরকম খাদ্য মেনুতে রাখুন। তাজা ফল, শাক সব্জি, রোজ খেতে হবে।