হিন্দুদের রীতিগুলির মধ্যে অন্যতম হল করবা চৌথ। স্বামীর মঙ্গল কামনায় হিন্দু বিবাহিত মহিলারা পালন করে থাকেন এই উৎসবটি। পশ্চিমবঙ্গে করবা চৌথ উৎসবটি খুব একটা প্রচলিত না হলেও, উত্তর ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ নিষ্ঠা সহযোগে পালন করে থাকেন সধবা মহিলারা। হরিয়ানা, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, ও হিমাচল প্রদেশ-এ পালন করা হয় এটি। আমাদের দেশে যেমন স্বামীর মঙ্গলকামনায় শিবরাত্রির চল রয়েছে, তেমনই করবা চৌথ।
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, প্রতি বছর কোজাগরী লক্ষী পুজোর পূর্ণিমার চারদিন পর এই রীতিটি পালন করা হয়ে হয়ে থাকে। ৭০ বছর পর ২০১৯ সালের করবা চৌথ-এর দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বছর প্রথম রোহিনী নক্ষক্ষের সঙ্গে মঙ্গলের যোগ স্হাপিত হয়েছে। এই যোগ অত্যন্ত শুভ বলে মনে করছেন জ্যোতিষবিদরা। এই দিনে করওয়া চৌথ ব্রত পালন করলে শুভ ফল দেবে বলে মনে করছেন জ্যোতিষিরা। ১৭ অক্টোবর ৬.৪৮ মিনিটে শুরু হবে, এই তিথিটি, শেষ হবে ১৮ অক্টোবর সকাল ৭.২৯ মিনিটে।
স্বামীর মঙ্গল কামনায় সূর্যোদয় থেকে নির্জলা উপবাস শুরু হয়, সূর্যাস্তে শেষ হয় সেই উপবাস। দিনের শেষে চাঁদ ওঠার পরে বিবাহিত মহিলারা উপবাস ভঙ্গ করেন। এদিন বিবাহিত মহিলারা নতুন শাড়ি পরে চালুনি দিয়ে, চাঁদের মুখ দেখার পর স্বামীর মুখ দেখেন। বিবাহিত মহিলারা উৎসব উপলক্ষ্যে হাতে মেহেন্দিও পরে থাকেন। এছাড়া তাঁরা ব্রত কথা, ধর্মীয় গান শুনে দিনটি কাটান। উপবাসটি করার মূল উদ্দেশ্য হল স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনা, ও স্বামী যেন ভালো থাকেন। অনেক সময় স্বামীরাও স্ত্রী-র সঙ্গেও উপবাস থাকেন। স্ত্রী-র মঙ্গল কামনায়। এছাড়া মেয়ে-জামাই-এর বাড়িতে 'সরগি' পাঠানোর চল রয়েছে এই সময়ে। এছাড়া এই দিনটিতে মাতা পার্বতী সহ, গণেশ, কার্ত্তিক ও শিবের পুজোও করা হয়ে থাকে।