ভাল ঘুমের জন্য এই ৫টি ভুল এড়িয়ে চলুন! বিছানায় যাওয়ার আগে কিছুতেই করবেন না এই কাজ

Published : Dec 06, 2024, 09:09 PM IST

ভাল ঘুমের জন্য এই ৫টি ভুল এড়িয়ে চলুন! বিছানায় যাওয়ার আগে কিছুতেই করবেন না এই কাজ

PREV
16

ঘুম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি রাতে ঠিকমতো না ঘুমাই, তাহলে পরের দিনটা নষ্ট হয়ে যায়। তাই প্রতি রাতে প্রায় ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো খুবই জরুরি।

তবে, অনিদ্রা আজকাল আমাদের অনেকেরই একটি বড় সমস্যা। এই সমস্যা কারও কারও ক্ষেত্রে কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী হয়। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে কয়েক মাসও স্থায়ী হতে পারে। আমরা যদি ঠিকমতো না ঘুমাই, তাহলে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ব। এই অনিদ্রার সমস্যার জন্য আমরা যে কিছু ভুল করি, সেগুলোই এর প্রধান কারণ। সেগুলো কী কী, তা এই পোস্টে দেখে নেওয়া যাক।

26

অনিদ্রার জন্য আমরা যে ৫টি ভুল করি:

১. ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ব্যবহার

ঘুমানোর আগে মোবাইল ফোন, টিভি, ল্যাপটপের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ এগুলো থেকে নির্গত নীল আলো শরীরে ঘুমের হরমোন মেলাটোনিনের উৎপাদনকে ব্যাহত করে। এটি খারাপ ঘুমের কারণ হয়। তাই ঘুমানোর আধ ঘন্টা আগে কোনও মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করবেন না।

36

২. ক্যাফেইন

ঘুমানোর আগে চা, কফি পান করা থেকে বিরত থাকা ভালো। কারণ এগুলোতে থাকা ক্যাফেইন শরীরকে উদ্দীপিত করে এবং ঘুম নষ্ট করে। রাত আটটার পর চা, কফি পান করলে ঠিকমতো ঘুম আসবে না।

46

৩. রাতে বেশি খাবেন না!

রাতে পেট ভরে খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। বেশি খেলে খাবার ঠিকমতো হজম হবে না। এর ফলে আপনি অস্বস্তি বোধ করবেন। এর কারণে ঠিকমতো ঘুম হবে না। তাই রাতে হালকা খাবার খান। খাওয়ার দুই ঘন্টা পর ঘুমানো উচিত।

56

৪. ঘুমের রুটিন না মানা:

রাতে ঘুমানো এবং সকালে উঠার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সূচী তৈরি করুন। আপনি যদি বিভিন্ন সময়ে ঘুমাতে যান, তাহলে ঠিকমতো ঘুম আসা কঠিন। আপনি যদি একই সময় ঘুমান, তাহলে আপনার শরীর কয়েক দিনের মধ্যেই অভ্যস্ত হয়ে যাবে। অন্যথায় ঘুমানো কঠিন হবে। তাই ঘুমানোর জন্য একটি রুটিন তৈরি করুন এবং সে অনুযায়ী ঘুমান।

66

৫. মানসিক চাপ:

মানসিক চাপ, উদ্বেগ থাকলে রাতে ঠিকমতো ঘুম হয় না। চোখ বন্ধ করলেও ঘুম আসে না। এটি অনিদ্রার সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই মানসিক চাপ কমাতে প্রতিদিন ধ্যান, ব্যায়ামের মতো শারীরিক কার্যকলাপে অংশ নিন। ঘুমানোর আগে কোনও কিছু নিয়ে চিন্তা করবেন না। যতটা সম্ভব মস্তিষ্ককে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন।

click me!

Recommended Stories