এইভাবে রান্না করলে একটুও তেতো লাগবে না করলা! কীভাবে তিতকুটে ভাব দূর করবেন, জেনে নিন

এইভাবে রান্না করলে একটুও তেতো লাগবে না করলা! কীভাবে তিতকুটে ভাব দূর করবেন, জেনে নিন

Anulekha Kar | Published : Sep 27, 2024 3:06 PM IST

16
এইভাবে রান্না করলে একটুও তেতো লাগবে না করলা!

করলা দেখলে অনেকেই মুখ কুঁচকে ফেলেন। শুধু বাচ্চারাই নয়, বড়রাও করলা খেতে অনীহা প্রকাশ করেন। তবে এর স্বাদ তিতা হলেও, এর পুষ্টিগুণ অসাধারণ। ভারত, চীন সহ অনেক দেশের ঐ্যধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সবজি। 

করলা বলতেই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখাটাই সবার প্রথম মনে আসে। কিন্তু এর বাইরেও এর মধ্যে রয়েছে আরও অনেক পুষ্টি। করলার পুষ্টিগুণ কী কী? কোন কোন খাবারের সাথে করলা খাওয়া উচিত নয়, এই পর্বে তা নিয়েই আলোচনা করা হল। করলা কাঁচা এবং রান্না করে উভয়ভাবেই খাওয়া যায়। 

26
এইভাবে রান্না করলে একটুও তেতো লাগবে না করলা!

করলার পুষ্টিগুণ:  

করলা কাঁচা খেলে এবং রান্না করে খেলে পুষ্টিগুণের তারতম্য হয়।  করলায় ৩২ ধরনের রাসায়নিক উপাদান রয়েছে। এক কাপ বা ১৩০ গ্রাম রান্না করা করলা থেকে 53.3 ক্যালোরি পাওয়া যায়। প্রোটিনের পরিমাণ ১.০৭ গ্রাম এবং চর্বি ৩.৫২ গ্রাম।

কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ ৫.৪৫ গ্রাম, চিনির পরিমাণ ২.৪৬ গ্রাম। এছাড়াও শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ফাইবার পাওয়া যায় ২.৪৭ গ্রাম। করলা হল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এমন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি সবজি। এক কাপ করলা থেকে ৪১.৫ গ্রাম ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এতে ভিটামিন বি৯ এর প্রাকৃতিক উৎস ফোলেট পাওয়া যায়। এটি আমাদের কোষের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। 

36
এইভাবে রান্না করলে একটুও তেতো লাগবে না করলা!

করলার উপকারিতা:  

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে করলা সাহায্য করে। ব্যাকটেরিয়ার কারণে হওয়া কিছু সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও করলা সাহায্য করে।

করলার রস পান করলে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। ডিম্বাশয়, ত্বক, অস্থিমজ্জা, স্তন, প্রোস্টেট গ্রন্থিতে ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করতে করলা সাহায্য করে বলে গবেষণায় দেখা গেছে।   

করলায় থাকা কিছু প্রোটিন পরিবাহন ব্যবস্থার ব্যাঘাত প্রতিরোধ করে বলে জানা গেছে। পরিবাহন ব্যবস্থার ব্যাঘাত রক্তে শর্করার মাত্রা, রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মতো সমস্যার কারণ। এই সমস্যা প্রতিরোধে করলা খাওয়া যেতে পারে। 

করলার রসে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে থাকে। এটি ব্রণ নিরাময়ে সাহায্য করে। 
 
হৃদরোগ, স্থূলতা, কিডনির समस्या হ্রাস করতে সাহায্য করে।

46
এইভাবে রান্না করলে একটুও তেতো লাগবে না করলা!

কোন কোন খাবারের সাথে করলা খাওয়া উচিত নয়?
 
কলা, আপেল, আমের মতো ফলের সাথে করলা খাওয়া উচিত নয়। 
 
করলার সাথে দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। দুধ, দই অথবা পনিরের মতো খাবারের সাথে করলা খেলে পাচন জনিত সমস্যা হতে পারে। 
 
লবঙ্গ, এলাচ অথবা জায়ফলের মতো মশলার সাথে করলা খাওয়া উচিত নয়। 

গরুর মাংসের মতো লোহিত মাংসের সাথে করলা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। 
 
টমেটো, লেবুর মতো সাইট্রাস জাতীয় ফল হল এসিডিক খাবার। এই ধরনের খাবারের সাথে করলা খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো।

কোন কোন খাবারের সাথে করলা খাওয়া যেতে পারে? 

করলা এবং আমলকির রস একসাথে পান করলে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায়। এটি নিয়মিত পান করলে শরীর সুস্থ থাকে। 

করলার তিতকুটে ভাব কমিয়ে মিষ্টি স্বাদ আনতে এর সাথে ঝিঙে ব্যবহার করা যেতে পারে। 

করলার তিতকুটে ভাব দূর করার উপায়! 

করলার তিতকুটে ভাব কমিয়ে ফেলতে পারলে খেতে ভালো লাগে। এর জন্য করলা সারারাত লবণ জলে ভিজিয়ে রাখা যেতে পারে। পরের দিন সকালে এটি ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে রান্না করলে করলার তিতকুটে ভাব অনেকটাই কমে যাবে। 

56
এইভাবে রান্না করলে একটুও তেতো লাগবে না করলা!

প্রতিদিন কতটা করলা খাওয়া উচিত? 

আপনি যদি আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় করলা রাখতে চান তাহলে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। অতিরিক্ত পরিমাণে করলা খেলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন ৩ থেকে ১৫ গ্রামের বেশি করলার গুঁড়ো খাওয়া উচিত নয়। করলার রস পান করলে ১০০ থেকে ২০০ মিলি হল প্রতিদিনের সর্বোচ্চ সীমা। 

করলার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া: 

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণে করলা খেলে তার ফলাফল পাওয়া যাবে। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। পাচন জনিত সমস্যা, অ্যাসিডিটি, ডায়রিয়া, আলসার, কিডনির समस्या হতে পারে। সপ্তাহে একদিন করলা খেলে কোনও সমস্যা নেই। যারা প্রতিদিন করলা খান তাদের সতর্ক থাকা উচিত। 

66
এইভাবে রান্না করলে একটুও তেতো লাগবে না করলা!

কারা করলা খাবেন না?

করলা অনেক উপকারী হলেও কিছু মানুষের জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে। যারা গর্ভধারণের योजना করছেন, মা যারা শিশুকে স্তন্যপান করাচ্ছেন তাদের করলা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। 

যারা বি-গ্লাইকোপ্রোটিন অণু যুক্ত ঔষধ খাচ্ছেন তাদের করলা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।  

যারা উপবাস রয়েছেন, যাদের সম্প্রতি অস্ত্রোপচার হয়েছে, যারা শারীরিকভাবে দুর্বল তাদের করলা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ করলা রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয়। এতে আপনার মাথা ঘোরাতে পারে।

Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos

Recommended Photos