
change bed sheets: নতুন চাদর বা বালিশের রং ও গন্ধ হয়তো সবসময় টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়, তবে পরিষ্কার পরিপাটি বিছানায় গা এলাতে বেশ লাগে। সদ্য ধোয়া হালকা সাবান, নেপথলিন বা ডেটলের গন্ধযুক্ত মোলায়েম চাদর যে আরামের ঘুম আসে তা অতুলনীয়। এমন বিছানায় বসলে বা শুলেই যেন আলিস্যি ঘিরে ধরে। এবার এতো সুন্দর গোছানো পরিষ্কার বিছানার চাদর বা বালিশে যদি সূক্ষ্ম ময়লা বা জীবাণু বাসা বাধে, দিনের বিশ্রামের জন্য অন্তত সাত আট ঘন্টা ওই বিছানায় কাটানো মুশকিল। তাহলে আসুন জেনে নি কতদিনের ব্যবধানে বিছানা ও বালিশের কভার বদলানো উচিত।
আমেরিকার গুড হাউসকিপিং ইনস্টিটিউট হোম কেয়ার অ্যান্ড ক্লিনিং ল্যাবের ডিরেক্টর ক্যারোলাইন ফোর্ট বিছানার পরিষ্কার পরিছন্নতা নিয়ে যথেষ্ট সতর্ক থাকতে বলেছেন। সপ্তাহে সপ্তাহে বিছানার চাদর, বালিশ, গায়ে দেওয়ার চাদর সমস্ত বদলে দ্যুয়ে নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। আধোয়া চাদর - বালিশে ঘাম, শরীরের মৃত চামড়া, ধুলো, জীবাণু, বাড়ির পোষ্যের লোম ইত্যাদি বিছানায় জমা হয়। দিনের পর দিন চাদরে এসব জমা হয়ে অ্যালার্জি, হাঁপানি, ত্বকের প্রদাহজনক ও ব্রণর মতো সমস্যা বাড়ে। যাদের ডাস্ট অ্যালার্জির মতো সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে নিয়মিত চাদর ও বালিশের কভার পরিষ্কার রাখা জরুরি। রোজ বিছানা ও বালিশ ঝেড়ে রাখুন। দরকারে বিছানার গদি ও বালিশ রোদে দিন। ঘাড় ও পিঠে ব্যথার মতো সমস্যা থাকলে রোদে দেওয়া বালিশ ও গদি আরাম দেয়।
কখন বদলাবেন বিছানার সজ্জা?
সপ্তাহে অন্তত এক বার করে বিছানার চাদর পাল্টানো উচিত। তাও সুযোগ না হলে ১৫ দিনের মধ্যে একবার হলেও বদলান বিছানার সজ্জা। হালকা গরম জলে, সাবান দিয়ে চাদর এবং বালিশের কভার ধুয়ে ফেলুন।বালিশের কভারও সময়মতো বদলে ফেলা উচিত। সময়ে সুযোগের অভাব হলে বিছানার চাদর নাহয় আপনি দেরি করে বদলালেন, তবে এই ভুলটি বালিশের কভারের ক্ষেত্রে করবেন না। সপ্তাহে অন্তত এক বার করে বালিশে নতুন ধোয়া কভার পরাবেন। ত্বক ও চুলের তেল, ময়লা, জীবাণু, ঘাম, লালা জমে অপরিষ্কার বালিশ আপনাকে অসুস্থ্য করে তুলতে পারে। এইসব সূক্ষ্ম জীবাণু ধুলো - ময়লা মুখের ভিতর প্রবেশ করতে পারে। বালিশের কভার নোংরা থাকলে মুখে ব্রণ, ৱ্যাশ উঠতে পারে, চুল ঝরে পড়ার মতো সমস্যাও বাড়তে পারে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।