কোন সময়ে নীরব থাকাই সবচেয়ে ভালো উপায়? জেনে নিন কী বলছে চাণক্য নীতি

চাণক্য নীতি অনুসারে, এমন কোনও পরিস্থিতিতে যদি পড়েন, যেখানে আপনি আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে অবহিত, কিন্তু আপনার সঙ্গে যারা তর্ক করছে তারা কিছু জানে না, তাহলে সেখানে চুপ করে যাওয়াই ভালো। অজ্ঞ ব্যক্তিদের সঙ্গে তর্ক করলে অযথা সম্মানহানি হবে।

প্রচণ্ড রাগ হলে মানুষ ঠিক-বেঠিক বোধ হারিয়ে ফেলে। সেই সময় এমন কিছু কথা মুখ দিয়ে বেরিয়ে যায়, যার জন্য পরে সারাজীবন আফশোস করতে হতে পারে। এই কারণে রাগের মাথায় চুপ করে থাকাই ভালো। মাথা ঠান্ডা হলে তারপর ফের কথা শুরু করা উচিত।

কেউ কোনও বিষয়ে আপনার মতামত, পরামর্শ, উপদেশ না চাইলে অযাচিতভাবে কিছু বলতে যাবেন না। কারণ, সেক্ষেত্রে যদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আপনার কথায় গুরুত্ব না দেন, তাহলে আপনার সম্মানহানি হবে।

আপনার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা বা পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে কারও সঙ্গে আলোচনা না করাই ভালো। একান্ত ব্যক্তিগত কাউকে ছাড়া বাকিদের কিছু না জানালে নিরাপদে থাকা যাবে। কারণ, সবাই আপনার শুভাকাঙ্খী নয়।

আপনি যদি কারও সমালোচনা করেন, তাহলে পরবর্তীকালে আপনারও সমালোচনা হতে পারে। এই কারণে কখনও অন্যদের বিষয়ে খারাপ কথা বলা উচিত নয়।

বড়রা কোনও বিষয়ে কথা বললে তাঁদের কথা মন দিয়ে শোনা উচিত। কখনও তাঁদের কথার মাঝখানে কিছু বলা উচিত নয়। বড়দের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা বজায় রাখা উচিত।

সবসময় সব জায়গায় কথা বলা উচিত নয়য যেখানে আপনি কিছু বললে অন্যরা বিরক্ত হতে পারে, সেখানে কথা বললেই সম্মান বজায় থাকবে।

রাগের মতোই আবেগের মুহূর্তেও আমরা অনেক সময় এমন কিছু কথা বলে ফেলি, যার ফলে ভবিষ্যতে ক্ষতি হতে পারে। এই কারণে আবেগের মুহূর্তেও চুপ করে থাকা উচিত।

আপনার প্রতিদ্বন্দ্বীও যদি কোনও ক্ষেত্রে সাফল্য পায়, তাহলে হিংসা বা সমালোচনা করার বদলে চুপ করে থাকা উচিত। সেক্ষেত্রে আপনার সম্মান বজায় থাকবে।

তুচ্ছ বিষয়ে কারও সঙ্গে তর্ক করলে সময় নষ্ট হয়, সম্মানহানিও হতে পারে। তাই এই ধরনের পরিস্থিতিতে চুপ করে যাওয়াই শ্রেয়।