মহালয়ার ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠের মতো ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ রূপে সংযুক্তা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আজও ভোলেনি বাঙালি। হয়তো ভুলতে পারবে না কোনও দিনই!
ইন্ডিয়ান ক্লাসিক্যাল ডান্সার সংযুক্তা বন্ধ্যোপাধ্যায় ভারতনাট্যম নৃত্যশিল্পী। মহালয়াতেই দেবীদুর্গার চরিত্রে তাঁর আবির্ভাব ছোটপর্দায়। টেলিভিশন বা বড় পর্দার অনেক জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ রূপে দেখেন হাজার হাজার বাঙালি। তবুও মহালয়ার ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠের মতো ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ রূপে সংযুক্তা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আজও ভোলেনি বাঙালি। হয়তো ভুলতে পারবে না কোনও দিনই!
প্রথম বর্ষের পরীক্ষা চলাকালীন তিনি মহিষাসুমর্দিনী-র চরিত্রে কাজ করার সুযোগ পান। এরপর বাঙালির মননে মহিষাসুরমর্দিনী-রূপে নিজের এক আলাদা জায়গা করে নেন। বর্তমানে জনপ্রিয় এই শিল্পী কানাডাবাসী। দেশের বাইরে থেকেও বিদেশে একই ভাবে নিজের শিপ্লীসত্তা বজায় রেখেছেন তিনি। সেখানেও ভারতীয় নৃত্যের শিক্ষার প্রসার করে চলেছেন।
বর্তমানে পুজোর পাঁচদিনই কানাডা-সহ আমেরিকার বিভিন্ন জায়গায় শো নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তিনি। নিজের নাচের স্কুল সৌগান্ধিকাম একাডেমির ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়েই পুজোর কটাদিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ব্যস্ত থাকেন সংযুক্তা বন্ধ্যোপাধ্যায়। তাই আজকের দিনে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গলা যেমন স্তোত্র পাঠ অনন্য সেরকমই মহিষাসুমর্দিনী রূপে সংযুক্তা বন্ধ্যোপাধ্যায়ের দশ হাতে দশভূজার টেলিভিশনের সেই দৃশ্যও ভুলতে পারবেন না কেউ।
মহিষাসুরমর্দিনি-তে অভিনয় করার আগের প্রস্তুতির কথা জানতে চাওয়ায় তিনি বলেন, ''যেই মেয়ে অসুর বধ করছে সেই আবার ঘরের মেয়ে উমা, এই দুই রূপ একসঙ্গে ফুটিয়ে তোলা সেই সময়ে অত সহজ ছিল না। যেই পন্ডিত ব্যক্তিত্বরা এই গোটা স্ক্রিপটি পর্দায় তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন, তাদের থেকে সম্পূর্ণ ভাব বা গোটা চরিত্রটাকে বুঝে পর্দায় ফুটিয়ে তোলাটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। এটা কারও একার ভাবনা নয় পুরো টিমটাই যে যার কাজে নিঁখুত ছিলেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে, একা আমার জন্য এই সফলতা আসেনি -বাকিটা শুনে নিন তাঁর নিজের মুখ থেকে-