এই কড়া ডায়েট ফলো করলেই শরীরে বাসা বাঁধবে ভয়ঙ্কর রোগ, ক্ষতি হতে পারে কিডনির

Published : Dec 27, 2022, 05:54 PM IST
diabetes diet

সংক্ষিপ্ত

ওজন কমাতে দীর্ঘ দিন ধরে ফলো করছেন কেটো ডায়েট। কিন্তু এটা জানেন কি এই ডায়েট কঠোর ভাবে মেনে চলতে চলতে মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে অনেকেরই। তারপর থেকেই এই কেটো ডায়েট নিয়ে সচেতন করছেন চিকিৎসকেরা।

আয়নার সামনে দাঁড়ালেই যেন বাড়তি মেদ আরও চোখ টানছে। এক্সারসাইজ , ডায়েট করে ওজন কমাতে সারাদিন শুধু স্যুপ আর স্যালাড খেয়ে আছেন? এতে ওজন কমলেও মন ভরছে না। ওজন কমাতে দীর্ঘ দিন ধরে ফলো করছেন কেটো ডায়েট। কিন্তু এটা জানেন কি এই ডায়েট কঠোর ভাবে মেনে চলতে চলতে মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে অনেকেরই। তারপর থেকেই এই কেটো ডায়েট নিয়ে সচেতন করছেন চিকিৎসকেরা।

ডায়েট করতে গিয়ে অনেকেই অতিরিক্ত কড়া নিয়মের মধ্যে নিজেকে বেধে ফেলেছেন। যার কারণে চিকিৎসকরা এই কেটো ডায়েট নিয়ে সচেতন করছেন।দীর্ঘদিন ধরে একটানা ডায়েট মেনে চলতে গিয়ে অতিরিক্ত প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া যা কিডনির উপরে চাপ দিচ্ছে। সেই কারণেই এই কেটো ডায়েট প্রতিদিন করতে বারণ করছেন ডাক্তাররা। চিকিৎসকদের মতে, একটানা ৬ মাসের বেশি এই কেটো ডায়েট মেনে চলা একদমই উচিত নয়। এবং মাঝেমধ্যেও এই ডায়েট থেকে বিরতি থাকা উচিত।এই ডায়েট যেমন শরীরে খুব তাড়াতাড়ি প্রভাব ফেলে। এবং শরীরে জমে থাকা ফ্যাট কার্বহাইড্রেটের থেকে এনার্জি বেশি কাজ করে।

 

 

ফ্যাট জাতীয় ও প্রোটিন জাতীয় খাবার খেলে কিডনির উপর বেশি চাপ পড়ে। যারা নিয়মিত এই কেটো ডায়েট মেনে চলেন তাদের মধ্যে লো-প্রেশারের সমস্যাও দেখা যায়। যার থেকে হৃদরোগও হতে পারে। কেটো ডায়েটের ফলে কিডনির উপর চাপ পড়ে কারণ এই ডায়েটে ফ্যাট ও প্রোটিনের মাত্রা বেশি খাতে। এই ডায়েট মেনে চললে কিডনিতে স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্যও ক্ষতিকারক এই ডায়েট।সেই কারণেই এই কেটো ডায়েট প্রতিদিন করতে বারণ করছেন ডাক্তাররা। সকালের ব্রেকফাস্ট কখনওই এড়াবেন না। সকালের দিকে ভারি খাবার খান। দুপুরে হাল্কা খাবার খান। যতটা পারবেন জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলুন। খাওয়ার পরই আসে ঘুম। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম শরীরের জন্য ভীষণ জরুরি। তবে অত্যাধিক ঘুম আবার বিপদ ডেকে আনে। রাতে ৮-৯ ঘন্টা ঘুমোন কিন্তু ১০-১২ ঘন্টা কখনওই ঘুমোবেন না। রোগা হতে চাইলে চকোলেট, চিপস, আইসক্রিম ভুলে যান পরিবর্তে টাটকা শাক-সব্জি খান। এতে শরীর যেমন ভাল থাকবে তেমনই ত্বক উজ্জ্বল দেখাবে। সন্ধ্যাবেলায় প্রতিদিন কুড়ি মিনিট অ্যারোবিক এক্সারসাইজ করুন। এতে শরীরে রক্ত চলাচল ঠিক থাকবে। ধীরে ধীরে জগিংও করতে পারেন। অ্যালকোহল, সিগারেট থেকে নিজে দূরে থাকুন। প্রতিদিন ঘুমোতে যাওয়ার আগে দশ মিনিট হাঁটাচলা করে নিন। এতে শরীরের রক্ত চলাচল ঠিকমতো হবে। তবে বিয়ের একসপ্তাহ আগে নয়, বরং বিয়ের কয়েকমাস আগে থেকে নিয়ম করে এই জিনিসগুলি মেনে চললেই আপনি ফিট থাকবেন আবার স্লিম অ্যান্ড ট্রিমও হয়ে যাবেন।

 

 

PREV
click me!

Recommended Stories

আপনার পোষ্যের ঘুমের অঙ্গীভঙ্গি দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন তার মনোভাব
বাটিতে প্রস্রাব থেকে দুই ভাইকে বিয়ে, ২০২৫-এর চর্চায় উঠে এসেছিল অদ্ভুত বিয়ের এইসব রীতি