পেঁয়াজের দাম কমেছে অবশেষে। দেড়শো টাকা থেকে নেমে এখন তিরিশ থেকে চল্লিশ টাকার কাছাকাছি ঘোরাঘুরি করছে পেঁয়াজের দাম। অতএব, হেঁশেলে ঢুকে আবার পাওয়া যাচ্ছে পেঁয়াজে ঝাঁঝ।
রান্নায় তো বটেই, পেঁয়াজ কাঁচা খাওয়ারও উপকারিতা অনেক। ১৪৮ গ্রামের একটা মাঝারি আকারের পেঁয়াজ থেকে পাওয়া যায় ৪৫ ক্য়ালোরি। এতে কার্বোহাইড্রেট থাকে ১১ গ্রাম। ডায়েটারি ফাইবার থাকে ৩ গ্রাম। সুগার ৯ গ্রাম। ফ্য়াট আর কোলেস্টেরল থাকে না। সোডিয়াম ৫ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১৯০ মিলিগ্রাম, প্রোটিন ১ মিলিগ্রাম। ভিটামিন-সি থাকে ২০ শতাংশ, ক্য়ালশিয়াম ৪ শতাংশ,আয়রন ৪ শতাংশ।
স্টাডি ইন দ্য় জার্নাল থমব্রোসিস রিসার্চ নামক এক গবেষণা থেকে জানা যায়, পেঁয়াজ ন্য়াচারাল ব্লাড থিনার হিসেবে কাজ করে। অনুচক্রিকাগুলোর সংযুক্তিকরণ থেকে রক্ষা করে। ফলে হার্ট অ্য়াটাক অথবা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। পেয়াজে থাকা সালফার অ্য়ান্টি ইনফ্লেমেটরি হিসেবে কাজ করে। পেঁয়াজের মধ্য়ে থাকা পলিফেনল অ্য়ান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি ব়্য়াডিক্য়ালের প্রকোপ থেকে শরীরকে রক্ষা করে। পেঁয়াজে থাকা কোয়ারসেটিন হিস্টামিন ক্ষরণ কমিয়ে অ্য়ালার্জি প্রতিরোধ করে। এই কোয়ারসেটিন খুব শক্তিশালী একটি অ্য়ান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ব্রেস্ট, কোলন, প্রস্টেট, ওভারিয়ান, এন্ড্রোমেট্রিয়াল ক্য়ানসার প্রতিরোধে কাজ করে। ওরাল ও ইসোফেজিয়াল ক্য়ানসারের ঝুঁকি কমায়। পেঁয়াজে থাকা ফাইবার হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য় করে। এবং ইনটেসটাইনে ভাল ব্য়াকটেরিয়া জন্মাতে সাহায্য় করে। পেঁয়াজে থাকা অলিগোফ্রুকটোজ ফাইবার, ডায়েরিয়া কমাতে এবং তার চিকিৎসায় কাজে দেয়। পেঁয়াজে থাকা ফাইটোকেমিক্য়ালস গ্য়াসট্রিক আলসারের ঝুঁকি কমায়। পেঁয়াজে থাকা ক্রোমিয়াম ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে। পেঁয়াজে থাকা সালফার ইনসুলিম ক্ষরণ বৃদ্ধি করে ব্লাড সুগার লেভেল কমায়। মেনোপজের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন বা ইতিমধ্য়েই মেনোপজ হয়ে গিয়েছে এমন মহিলাদের হাড়ের স্বাস্থ্য়রক্ষায় কাজ করে পেঁয়াজ।