সাঁতারের ফলে কিন্তু নানা উপকারিতা পাওয়া যায়। শুধু শারীরিক নয়, মনের শান্তিও মেলে সাঁতার থেকেই। আসলে জলের নীচে গেলে যে শান্তি মেলে, তা আর কোথাও নেই। মনে করে দেখুন, ইয়ে জাওয়ানি হ্য়ায় দিওয়ানিতে স্কুবা ডাইভিং এর পর ঋত্বিক যেভাবে জীবনে এগিয়ে চলার মন্ত্র পেয়েছিলেন। আসলে জলে নামলে মনে শান্তি আসার সঙ্গে মনযোগ তৈরি হয়, তাই জলে নামাটা খুব জরুরী।
কোন স্ট্রোক কিভাবে আমাদের শরীরকে সাহায্য করে, জেনে নিন-
১। যারা ফুসফুসের জোর বাড়াতে চান তারা অবশ্যই ব্রেস্ট স্ট্রোকের ওপর ভরসা রাখতে পারেন৷ ব্রেস্ট স্ট্রোকের উপকারিতাও ফ্রিস্টাইলের মতোই৷
২। বাটারফ্লাই স্ট্রোক আমাদের পেটের পেশীকে শক্তিশালি করে তোলে। আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে, ৩৩০ ক্যালোরি ঝরাতে সাহায্য করে৷
২। ব্যাকস্ট্রোক আমাদের শরীরের গঠন সুন্দর করে৷ ৷ শিরদাঁড়া সোজা রাখে৷ বয়ঃসন্ধিকালে সুইমিং পুলে ব্যাকস্ট্রোক করলে উচ্চতা বাড়াতে সাহায্য করে ৷
৪। সাঁতারের সবচেয়ে সহজ স্ট্রোক হল ফ্রিস্টাইল৷ এই বেসিক স্ট্রোকে পুরো শরীরের ব্য়ায়াম হয়। বুকের পেশীর জোর বাড়ে৷
কেমন সুইমিং পুলে সাঁতার কাটা শরীরের জন্য় ভাল,জেনে রাখুন-
১। শেড দেওয়া সুইমিং পুল এড়িয়ে চলুন। কারন স্মার্ট সুইমিং পুল গুলির জলকে বিশুদ্ধ করার জন্য় ক্লোরিন বা ব্রোমিন দেওয়া হয়। তাই জলের সঙ্গে বিক্রিয়ায় উৎপন্ন গ্য়াস
শেড দেওয়া সুইমিং পুল দিয়ে বেরতে বাঁধা পায়।
২। বড় কেউ যদি সুইমিং শিখতে চান, তাহলে স্লোপ দেওয়া সুইমিং পুল খুঁজুন। যাতে জলে নেমে অনেকবার ডিপ বাবেল নিতে পারেন।
সাঁতার কাটার সময় যেগুলি খেয়াল রাখবেন, জেনে নিন-
১। চোখে ওয়াটার গ্লাস পরুন, নতুবা সুইমিং পুলে দেওয়া ক্লোরিন বা ব্রোমিন জল আপনার চোখের সমস্য়া তৈরি করবে।
২। উচ্চ রক্তচাপ থাকলে, ডাক্টারের পরামর্শ নিন। সাঁতার কাটার সময় শরীরে উচ্চ রক্তচাপ থাকলে অসুবিধায় পড়তে পারেন।