দৈনন্দিন জীবনের এত টানাপোড়েনের মধ্যে কীভাবে জীবনের আনন্দ খুশিকে বেছে নেবেন সেই পথের সন্ধান দিয়েছিলেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। আজ থেকে বহু বছর আগে তিনি যা বলে গিয়েছিলেন আজকের দিনে দাঁড়িয়ে সেই বাণীই আমাদের পাথেয়।
নানা টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে চলে আমাদের জীবন। সাংসারিক নানা ঝামেলায় নিজেদের জীবনের আনন্দ, সুখ, শান্তি কোথাও হারিয়ে ফেলি আমরা। আর জীবন থেকে আনন্দ খুশি হারিয়ে গেলে বেঁচে থাকার ইচ্ছাটাও কোথাও চলে যায়। তাই বেঁচে থাকতে গেলে সমস্ত কিছুর মধ্যে থেকেই আনন্দ খুশিকে বেছে নিতে হবে।
দৈনন্দিন জীবনের (Life Routine) এত টানাপোড়েনের মধ্যে কীভাবে জীবনের আনন্দ খুশিকে (Happiness) বেছে নেবেন সেই পথের সন্ধান দিয়েছিলেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব (Shri Ramkrishna)। আজ থেকে বহু বছর আগে তিনি যা বলে গিয়েছিলেন আজকের দিনে দাঁড়িয়ে সেই বাণীই আমাদের পাথেয়।
১. ভগবানকে স্মরণ করুন যেকোনও সময় : রামকৃষ্ণদেব বলেছেন ভগবানের নাম নেওয়ার নেওয়ার জন্য কোন নির্দিষ্ট সময় নেই। যে কোন সময় তার অর্চনা করা যায় যায়। যেকোনও সময় তার নাম নেওয়া যায়, সব ক্ষেত্রে একই ফল মিলবে।
২. যত মত তত পথ : রামকৃষ্ণদেবের এই বাণীর অর্থ হলো প্রত্যেকটি মতেরই মান্যতা আছে। ধর্মের ক্ষেত্রে অনেকেই কৃষ্ণ, কালী, শিব নিয়ে ঝগড়া করেন। কোন ভক্ত বলেন কৃষ্ণ শ্রেষ্ঠ, কেউ বলেন শিব শ্রেষ্ঠ। কিন্তু আসল সত্য হলো এটাই যে প্রতিটি মতই শ্রেষ্ঠ। যে যে মত ই মানুক না কেন , পথের সন্ধান ঠিকই পাবে। কারণ ধর্ম ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি মতই সত্য। যার যাকে মন চায় সে তাকে ইষ্ট দেবতা হিসেবে মেনে ডাকতে পারে, তার নিষ্ঠা সত্য হলে সে ভগবানকে লাভ করবেই।
৩. জীবনের লক্ষ্য : রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের কথায় সুখ এবং দুঃখ প্রতিনিয়ত বদল হয়। টাকা-পয়সা বাড়ি-গাড়ি কোনো কিছুই থাকেনা। তাই সকলকে মন প্রাণ দিয়ে ভালোবাসা উচিত। মানুষকে ভালোবাসতে পারলে আনন্দের সঠিক সন্ধান পাওয়া যাবে, দুঃখের থেকে মুক্তি ঘটবে।
৪. ভগবান হলেন কল্পবৃক্ষ : রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব বলতেন ভগবানের নাম নেওয়ার সময় ভালো কথা ভাবতে, এতে ফল পাওয়া যায়। উল্টে ভগবানের নাম নেওয়ার সময় যদিও অহিত চিন্তা করা হয় তাহলে ফল ও খারাপই হয়।
৫. ভগবান ছাড়া বাঁচা অসম্ভব : রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব বলতেন প্রদীপ যেমন তেল ছাড়া চলতে পারে না। তেমনি একজন মানুষ ও ভগবান ছাড়া কোনওভাবেই বাঁচতে পারেন না।
৬. ভগবান সর্বত্র বিরাজমান : অনেকেই বলেন যে ভগবান মূর্তিহীন আবার কারো কারো মতে ভগবান মূর্তিতে বিরাজ করেন। রামকৃষ্ণদেব এই মতপার্থক্যকেও ঘুচিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে ভগবান সর্বত্রই বিরাজমান। তিনি মূতিতেও আছেন, আবার একইসাথে তিনি নিরাকার।