এই রোগের উপসর্গগুলি প্রাথমিক ভাবে সাধারণমনে হলেও পরে এগুলি মৃত্যু পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারে। তাই আগে থেকে জেনে সাবধান হোন।
আগে যক্ষ্মা বা টিবি-র নাম শুনলেই এলাক জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ত। সেই টিবি রোগীর ত্রিসীমানায় আসতো না চার পাশের মানুষ। কিন্তু এখন চিকিৎসা অনেকটাই উন্নত হয়েছে। টিবি এখন চিকিৎসার মাধ্যমে সহজেই সারিয়ে ফেলা যায়।
তবে এই রোগ সারিয়ে ফেলা গেলেও, আতঙ্ক সেভাবে কমেনি। কিন্ত কিছু উপসর্গ রয়েছে যার মাধ্যমে টিবি হয়েছে কিনা। টিবি বা যক্ষ্মা সাধারণত আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া দেশের মানুষের মধ্যে দেখা যায়। তাই চিকিৎসায় এই রোগ সারানো গেলেও, এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা যে কমে গিয়েছে, তা কিন্তু নয়। তাই আগে থেকেই সচেতন হওয়া জরুরি। এই রোগের উপসর্গগুলি প্রাথমিক ভাবে সাধারণমনে হলেও পরে এগুলি মৃত্যু পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারে। তাই আগে থেকে জেনে সাবধান হোন।
প্রায়ই বুকে ব্যথা হলে সাবধান হোন। এর থেকে হার্ট অ্যাটাক পর্যন্ত হতে পারে।
টিবি শরীরে অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গের উপরেও প্রভাব ফেলে। যেমন পিঠে ও কোমরে ব্যথা। এছাড়া কিডনিতেও প্রভাবে ফেলে। তাই প্রস্রাবে রক্ত পেলে অবশ্যই সাবধান হোন।
সরদি কাশি হলে কেউই সেভাবে গুরুত্ব দেয় না। কিন্তু অনবরত কাশি হওয়া এবং তার সঙ্গে রক্ত বেরনো টিবি-র অন্যতম উপসর্গ।
খিদে না পাওয়া অন্যতম উপসর্গ। কিন্তু বহু দিন ধরে খিদে না পেলে ডাক্তার দেখান।
হঠাৎ রাতে ঘেমে গেলে সাবধান হোন। অনেকেই আবহাওয়ার কারণে গরম লাগছে ভেবে এড়িয়ে যান। কিন্তু নিয়মিত রাতে ঘুমনোর সময়ে ঘাম হলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যান।
তবে টিবি এড়িয়ে চলতে গেলে যেটা সবচেয়ে বেশি জরুরি, তা হল সচেতনতা। চিকিৎসকরা বলছেন,
একদম ছোট থেকেই সচেতন থাকা উচিত।ছোট থেকেই ঘন ঘন হজমের সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
প্রায়ই জ্বর বা কাশি লেগে থাকলেও এড়িয়ে না যাওয়া।
রোগী প্রাপ্তবয়স্ক হলে, তাঁর ব্লাড সুগার বা এইচআইভি রয়েছে কি না তা দেখে নেওয়া দরকার।কারণ এদের মধ্যে সহজে টিবিতে আক্রান্ত সম্ভাবনা থাকে।