জানেন কি এই আখের রসের কত গুণ রয়েছে? বলি তাহলে।
আখের রসে থাকে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, আয়রনয়, পটাশিয়াম-সহ খাবারের অনেক উপাদান। বলাই বাহুল্য়, গরমে ক্লান্ত শরীরকে মুহূর্তে চাঙ্গা করে দেয় এগুলো। শুধু শরীরকে তরতাজা রাখার জন্য়ই নয়। রোগবিসুখেও আখের রস খুব উপকারী। জন্ডিস হলে আখের রস খান। এই রস লিভারকে সহজে হজম করাতে সহযোগিতা করে। কোষ্ঠকাঠিন্য় প্রতিরোধেও কাজ করে আখের রস। আখের রসে থাকা গ্লাইকোলিক অ্য়াসিড, আলফা-হাইড্রক্সি অ্য়াসিড, ত্বকের জন্য় খুব উপকারী। এতে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন।
আখের রসে থাকা ক্য়ালশিয়াম, ফসফরাস ও বিভিন্ন মিনারেলসগুলো দাঁতের এনামেলকে শক্তপোক্ত রাখে, তার ক্ষয় হতে দেয় না সহজে। তাই দাঁতের স্বাস্থ্য় রক্ষায় নিয়মিত খান আখের রস।
জেনে রাখবেন, ক্য়ানসার প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই আখের রস। আখের রসে থাকে ফ্ল্য়াভোনয়েড। এই ফ্ল্য়াভোনয়েড ক্য়ানসার সৃষ্টিকারী কোষগুলোকে সহজে ছড়াতে দেয় না। গবেষকরা বলেন, স্তন ও প্রোস্টেট ক্য়ানসার প্রতিরোধে কাজে দেয় আখের রস।
আগেকার দিনে পথের ধারে আখের রস খাওয়ার যে চল ছিল, এখন কিছুটা হলেও তা কমেছে। কারণ অনেক। পরিচ্ছন্নতার অভাব। ক্রমাগত মাছি বসতে থাকা আখগুলোকে মেশিনে পিষে ফেলে রস বানানো হলে, তা খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ তো বটেই। তবে, একটু পরিচ্ছন্ন জায়গা থেকে আখের রস খেতে পারেন। একটু চেনা জায়গা হলে সুবিধে হয়। এখন অবশ্য় জ্বালের মধ্য়ে ঢেকে রাখা হয় খোসা ছাড়ানো আখগুলোকে। তাই ওইভাবে আর মাছি বসতে পারে না। তাছাড়া, অনেক বিক্রেতাই এখন পরিচ্ছন্নতাকে অগ্রাধিকার দেন।