এই বিষয়ে ইউনিভার্সিটি অফ সাউদাম্পটের গবেষকরাও মিথ্যে কথা বলার লক্ষণ নিয়ে বহু ব্যক্তির উপর নানান পদ্ধতিতে গবেষণা করেছেন। সেই গবেষণাতে দেখা গিয়েছে কোনও ব্যক্তির সত্যি কথা বলতে যতটা সময় লাগে মিথ্যে কথা বলতে তার থেকে গড়ে ৩০ শতাংশ বেশি সময় লাগে। গবেষকরা এও জানিয়েছেন, মিথ্যে কথা বলার প্রবণতা বেশিরভাগটাই মানসিক। জেনে নেওয়া যাক মিথ্যে কথা বলা ব্যক্তির শারীরিক পরিবর্তনগুলি। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে অনেকেই নানান মিথ্যে কথা বলে থাকেন। তবে অনেকেই আছেন যাঁরা মিথ্যে কথা বলায় আসক্ত হয়ে পড়েছেন। তাঁরা চাইলেও মিথ্যে বলা বন্ধ করতে পারেন না। আবার অনেকেই আছেন মিথ্যে কথা বলাকে পাপমূলক কাজ হিসেবেই মনে করেন।
এই মিথ্যে বলার বিষয়ে গবেষক রবার্ট ফোল্ডম্যান বেশ কিছু গবেষণাও করেছেন। সেই গবেষণায় করা হয়েছিল একসঙ্গে ৪ জন মানুষের মধ্যে। যাঁদের একটি ঘরের মধ্যে রাখা হয়েছিল ১৫ মিনিট তাঁরা নিজেদের মধ্যে কথা বলেছেন। সেই ১৫ মিনিটের মধ্যেই তারা বেশ কিছু মিথ্যে বলেছেন। এইভাবে বেশ কিছু গবেষণার পর দেখা গিয়েছে যাঁদের মিথ্যে কথা বলার অভ্যাস রয়েছে এমন কিছু ব্যক্তিত্বও মিথ্যে কথা বলার সময় বিশেষ কিছু পরিবর্তন হয়। যা দেখে বোঝা যায় সেই মানুষটি মিথ্যে কথা বলছে। তবে জেনে নেওয়া যাক কোন কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার বিপরীতে থাকা মানুষটি মিথ্যে বলছে।
আরও পড়ুন- অবিশ্বাস্য, গুজরাটেই তৈরি হবে বিশ্বের প্রথম ফ্লাইং কার PAL-V
যখন কোনও ব্যক্তি কোনও বিষয়ে মিথ্য়ে কথা বলে তখন সেই ব্যক্তি খুব দ্রুত পায়ের অবস্থান বদল করে। অনেক ক্ষেত্রে খেয়াল করা যায়, মিথ্যে কথা বলার সময় ব্যক্তিটি খুব আড়ষ্ট হয়ে থাকে, বেশি নড়া-চড়া করেন না। যখন কোনও মানুষ মিথ্যে কথা বলে গবেষকদের মতে তখন সেই ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বেড়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে খেয়াল করা যায়, মিথ্যে কথা বলার সময় ব্যক্তির দৃষ্টি স্থির থাকে। যখন কোনও ব্যক্তি কোনও বিষয়ে মিথ্য়ে কথা বলে তখন সেই ব্যক্তি খুব দ্রুত নিজের মাথাক ভঙ্গি বদল করে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে মিথ্যে কথা বলার সময় বহু ব্যক্তি মুখ ঢেকে বা মুখে হাত দিয়ে কথা বলারত প্রবণতা রয়েছে। কোনও ব্যক্তি মিথ্যে কথা বলার সময় প্রচুর অপ্রয়জনীয় তথ্য প্রদান করে থাকে। গবেষকদের মতে, অনেক ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করা গেছে মিথ্যে কথা বলার সময় বহু ব্যক্তি বার বার ঢোক গেলার প্রবণতা দেখা যায়।