আম যেমন খাবারে সুস্বাদু তেমনি স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। ফাইবার, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ আম রক্তচাপ এবং পেটের রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, তাই এটিকে সম্ভবত ফলের রাজা বলা হয়।
গ্রীষ্মকালীন ফলের ক্ষেত্রে আমের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। আমকে ফলের রাজা বলা হয়, যা গ্রীষ্মকালে পাওয়া যায়। সবাই আম খেতে চায় আর আমের নাম শুনলেই সবার মুখে জল চলে আসে, কারণ আমের স্বাদে সবাই পাগল। আম যেমন খাবারে সুস্বাদু তেমনি স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। ফাইবার, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ আম রক্তচাপ এবং পেটের রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, তাই এটিকে সম্ভবত ফলের রাজা বলা হয়। আম খাওয়ার অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।
১. পেটের সমস্যা প্রতিরোধ করা
গরমে কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট খারাপ, ডায়রিয়ার মতো রোগ দেখা গেলেও আম সেবন এই সব সমস্যাকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
২. রক্তশূন্যতা
আয়রন সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি খেলে শরীরে রক্তের অভাব পূরণ হয়। একই সময়ে, এর প্রতিদিনের সেবনে রক্ত সঞ্চালনও উন্নত হয়।
৩. উচ্চ রক্তচাপ
পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ আম খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। আপনিও যদি উচ্চ রক্তচাপে ভুগে থাকেন তাহলে প্রতিদিন ১ বাটি আম খাওয়া উচিত।
৪. মন তীক্ষ্ণ করুন
আম ফল মনকে তীক্ষ্ণ করার জন্য একটি খুব কার্যকরী প্রতিকার, কারণ এটি ভিটামিন বি৬ সমৃদ্ধ।
৫. অ্যাসিডিটিতে উপশম
গরম মশলাদার, ভাজা খাবার এবং তৈলাক্ত খাবার খেলে গ্রীষ্মকালে প্রায়ই অ্যাসিডিটি হয়। এমন অবস্থায় কাঁচা আম খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।
৬. তাপ থেকে মুক্তি
এই মৌসুমে প্রবাহিত ঠাণ্ডা বাতাস হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়, তবে আম খাওয়া শরীরে জলের অভাব পূরণ করে এই সমস্ত সমস্যা প্রতিরোধ করে। গরম থেকে বাঁচতে আপনার ডায়েটে ম্যাঙ্গো শেকও রাখতে পারেন।
৭. ওজন বৃদ্ধি
রোগা মানুষের জন্য আম কোনো আশীর্বাদের চেয়ে কম নয়। প্রকৃতপক্ষে, এটি ক্যালোরি এবং স্টার্চ সমৃদ্ধ, যা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। এমন অবস্থায় প্রতিদিন একটি করে আম খাওয়া উচিত।
৮. ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিস রোগীদের মনে হতে পারে যে তারা এর মিষ্টির কারণে এটি সেবন করতে পারে না, তবে এটি সম্পূর্ণ ভুল। এর পাতা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও বেশ উপকারী।
৯. চোখের রোগ দূর করে
চোখের শুষ্কতা দূর করতে প্রতিদিন আমের রস পান করুন। এটি চোখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
১০. ক্যান্সার প্রতিরোধ
আমে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলন, লিউকেমিয়া এবং প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে উপকারী। এতে রয়েছে কোয়ারসেটিন, অ্যাস্ট্রাগালিন এবং ফেসটিনের মতো উপাদান, যা শরীরে ক্যানসারের কোষকে বাড়তে বাধা দেয়।