তাপ প্রবাহ থেকে অনেকটাই রেহাই পেয়েছে বাংলার মানুষ। গরম কমতেই অনেকেই উইকেন্ডে ছুটি কাটানোর প্ল্যান করা শুরু করে দিয়েছেন। আর প্রাক বর্ষা বা বর্ষায় বেড়াতে যাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান হল সমুদ্র সৈকত।
তবে দিঘা-মন্দারমণিতে এই সময়ে যাওয়া মানে ভিড়ের মুখে পড়া। তাই ভিড় এড়াতে দিঘা-মন্দারমণি ছেড়ে এবার বেড়িয়ে আসুন জুনপুট ও বাঁকিপুট থেকে। দিঘার কাছেই এই পুরনো সমুদ্র সৈকত। কিন্তু দিঘার মতো জনপ্রিয় নয়, কারণ ভাঁটার সময়ে সমু্দ্রের জল সৈকত থেকে অনেকটাই সরে যায়। কিন্তু নিরিবিলিকে সমুদ্র উপভোগ করতে হলে ঘুরে আসুন এখান থেকে।
জুনপুটে বেড়াতে গেলে সমুদ্র সৈকতের থেকেও ঝাউবনে বেশি সময় কাটাতে পারেন। বিশাল বেলাভূমির ধারে ঝাউবনে বসে আড্ডা মারতে পারেন। এছাড়া ভাটার সময়ে সমুদ্রের জল অনেকটা সরে যায়। ফলে সৈকতের বেশ খানিকটা কাদা কাদা হয়ে থাকে। খালি পায়ে এখানে হাঁটলে ছোটবেলার স্মৃতিতে ডুব দেওয়া যায়।
এই সময়ে সৈকত জুড়ে লাল কাঁকড়ার দলও ঘুরে বেড়ায়। ভরা কোটালের সময়ে এই সৈকতে সমুদ্রের জল অনেকটা এগিয়ে আসে। কিন্তু এই সৈকতে স্নান করা ততটা নিরাপদ নয়।
জুনপুট থেকে ৩ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে বাঁকিপুট। বাঁকিপুটের নির্জনতা আর সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্যর টানেই আজকাল পর্যটকরা এখানে ভিড় করেন। এছাড়া কাছেই রয়েছে কপালকুণ্ডলা মন্দিরও। ঋষি বঙ্কিমচন্দ্রের এই মন্দির ভগ্নদশায় পড়ে রয়েছে। কিন্তু পুরনো ইতিহাস ঘেঁটে দেখতে ঘুরে আসতে পারেন এখান থেকে।
কীভাবে যাবেন জুনপুট ও বাঁকিপুট
১) জুনপুট যেতে হলে আপনাকে আগে দিঘা যেতে হবে। দিঘা থেকে বাসে করে কন্টাই বা কাঁথি পৌঁছন।
২) কন্টাই জুনপুটের দূরত্ব ৯ কিলোমিটার।
৩) কন্টাই থেকে জুনপুট পর্যন্ত ট্যাক্সিতেও যেতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন- জুনপুটে গিয়ে জুনপুট রিসর্টে থাকতে পারেন। এছাড়াও রয়েছে স্টার ভিউ রিসর্ট, রিসর্ট হীরক জয়ন্তী, নীল নির্জনে রিসর্ট, স্টার ইন রিসর্ট। রিসর্টে একদিন থাকতে খরচ হবে ৯০০ থেকে ১৬০০-র মধ্যে।