সমস্যাটা ২৫ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের মধ্যে আজকাল এই সমস্যাটা বেশ দানা বাঁধছে। এক বিশিষ্ট চিকিৎসকের মতে, এটা অবশ্যই জেনেটিক গত সমস্যা। সেই সঙ্গে এটাও বুঝতে হবে যে শরীরে মেলানোসাইটে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। শরীরে যদি কোনও বিশেষ রোগ দানা বাঁধে বা কোনও রোগের প্রকট যদি বেশি হয় সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট অংশের মেলানোসাইট কোষগুলিকে মেরে ফেলতে পারে। আর তখনই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়। এছাড়াও পরিবেশের একটা প্রভাব রয়েছে এই রোগের ক্ষেত্রে।
নাকের ওপরে সাদা চুল (White Hair On Nose)? চিন্তায় রাতের ঘুম হচ্ছে না । বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাথার চুলে পাক ধরে। সেটা মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু নাকের ওপর যদি সাদা চুল দেখা যায় তাহলে তো বিষয়টা বেশ ভাবাবে। মাথার চুলে কলপ করে বা হেয়ার কালার করে সমস্যার সমাধান করা যায়। কিন্তু নাকের ওপর তো আর সেই পদ্ধতি অবলম্বন করলে চলবে না। এদিকে নিজের লুক অ্য়ান্ড ফিল ঠিক রাখাটাও ভীষণ জরুরি। ট্রেনে বাসে করে অফিস যাচ্ছেন বা কোনও পার্টিতে যাবেন সুন্দর করে সেজেছেন আর সেখানে এক কাপ দুধে একবিন্দু গোচনার মত কাজ করছে আপনার নাকের ওপর গজিয়ে ওঠা ওই সাদা (White Nose Hair) চুল য়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা দিলে তাও মনকে বুঝ দেওয়া যায় কিন্তু স্বল্প বয়সী বা মাঝ বয়সী কারোর যদি এই সমস্যা দেখা যায় তখন তো রাতের ঘুম একেবারে উড়ে যায়।
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অভিভাবকরা সেটা নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তা করেন। বলা বাহুল্য, এই সমস্যাটা কিন্তু ২৫ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের মধ্যে আজকাল এই সমস্যাটা বেশ দানা বাঁধছে। অনেকে মনে করেন এটা বংশগত সমস্যা। কিন্তু অনেকক্ষেত্রে দেখা গেছে বাবা-মায়ের বা বাড়ির অন্য কোনও সদস্যের মধ্যে এই সমস্যা নেই। কিন্তু বাড়ির বাচ্চাটার মধ্যে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। অল্প বয়সেই নাকের ওপর উঁকি মারছে সাদা চুল। এক বিশিষ্ট চিকিৎসকের মতে, এটা অবশ্যই জেনেটিক গত সমস্যা। সেই সঙ্গে এটাও বুঝতে হবে যে শরীরে মেলানোসাইটে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। উল্লেখ্য, মেলানোসাইট হল চুলকে কালো রাখার উপাদান। শরীরে যদি কোনও বিশেষ রোগ দানা বাঁধে বা কোনও রোগের প্রকট যদি বেশি হয় সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট অংশের মেলানোসাইট কোষগুলিকে মেরে ফেলতে পারে। আর তখনই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়। এছাড়াও পরিবেশের একটা প্রভাব রয়েছে এই রোগের ক্ষেত্রে।
চিকিৎসকের একাংশের মতে, শরীরে ভিটামিনের অভাবেও নাকের ওপর সাদা চুল গজাতে পারে। তবে নাকের ওপর যদি একবার সাদা চুলের দেখা মেলে তখন দেরি না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তাহলেই একমাত্র এই রোগের সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া সম্ভব। অনেক চিকিৎসক আবার মনে করেন, এটি শুধুমাত্র জেনেটিক কারনেই হয়ে থাকে। জিন গত সমস্যা ছাড়া এটা নেহাইত আর কিছু নয়। অন্যান্য রোগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে এমনটা হয় এই বিষয়টা অনেক বিশেষজ্ঞই মানতে নারাজ।
নাকের ওপর সাদা চুলের সমস্যাটা খুবই গুরুতর একটি সমস্যা তা কিন্তু বলার অবকাশ রাখে না। তাই আপনি বা আপনার সন্তান যে কেউ যদি এই সমস্যার সম্মুখীন হন তাহলে নিজেদের মধ্যে প্যানিক না করে সোজা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এই রোগের ক্ষেত্রে বয়োটিন, ডি প্যান্থেনলের মত ওষুধগুলো বেশ ভালোই কাজ করে তবে চিকিৎসকের কাছে গেলে সঠিক কারন উদঘাটন করা সম্ভব। যেমন- আপনার অ্যানিমিয়া বা থাইরয়েড আছে কিনা বা শরীরে ভিটামিনের অভাবজনিত কারনে এই রোগ হচ্ছে কিনা সেটা বোঝা যাবে। এছাড়াও আপনার শরীরে যদি অন্য কোনও রোগ থেকে থাকে তখন সেটাও ধরা পড়ার একটা সুযোগ থাকে।