কাশফুল ফুটলেও শোরগোল নেই দুর্গা পুজোর, রোজগার অনিশ্চিত তমলুকের ঢাকিদের

  • বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজোতেই করোনার থাবা
  • এবছর এখনও ঢাক বাজানোর আগাম বার্তা নেই
  • দুর্গা পুজোয় ঢাক বাজিয়ে রোজগার অনিশ্চিত
  • আশা-আশঙ্কার দোলাচলে ঢাকির পরিবার

Asianet News Bangla | Published : Sep 10, 2020 7:14 AM IST / Updated: Sep 10 2020, 07:24 PM IST

সঞ্জীব কুমার দুবে, পূর্ব মেদিনীপুর-করোনার থাবা পড়েছে এবছরের দুর্গা পুজোতেও। অন্যান্য় বছর তিন মাস আগে থেকে ডাক পেলেও এবছর এখনও কোনও সাড়া নেই। ভাদ্র মাস শেষ হতে চললেও এখনও শোরগোল নেই। দুর্গাপুজোর জাঁকজঁমক প্রস্তুতিও নেই সেভাবে। তার ফলে সমস্যায় পড়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের ঢাকিরা। আগের বছর মুম্বই দিল্লি থেকে ডাক পেলেও এবছর নিজের জেলাতেও ঢাক বাজানোর ডাক পাচ্ছেন না তাঁরা।

আরও পড়ুন-তোলাবাজি থেকে রেহাই পেলেন না খোদ দলীয়কর্মী, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে

আকাশে পেঁজা তুলোর মেঘ। নদীর ধারে, ধানের জমির পাশে সদ্য কাসফুল ফুটেছে। গাছের তলায় ঝরে পড়েছে শিউলি ফুল। প্রকৃতি বার্তা দিচ্ছে দোরগোড়ায় শরৎকাল। দুর্গাপুজোর কাছাকাছি সময়েও শোরগোল নেই কোনও জায়গায়। নেই জাঁকজমক পূর্ণ প্রস্তুতি। নেই থিম নিয়ে প্রতিযোগিতা। কয়েক জায়গায় খুঁটি পুজো হলেও জৌলুস হারিয়েছে দুর্গা পুজো। সমস্যায় পড়েছেন ঢাকি সহ তাঁদের গোটা পরিবার।

আরও পড়ুন-পড়াশুনা করতে বিনা খরচে মোবাইল, ইন্টারনেট দাবি, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিল পড়ুয়ারা

পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে ঢাকি পাড়ায় গিয়ে বোঝা গেল, তাঁদের কোনও তাড়া নেই। কেননা এখনও কোনও জায়গা থেকে জুর্গা পুজোর ঢাক বাজানোর জন্য ডাক পাননি তাঁরা। অন্যান্য দিল্লি, মুম্বই, নেপাল, সহ বাইরে যাওয়ার জন্য অগ্রিম টিকিট বুক হয়ে যেত তাঁদের। কিন্তু করোনা আবহে এখনও সেই সব কিছুই নেই। ভিন রাজ্য তো দূরের কথা নিজের জেলাতেও বায়না পাওয়া নিয়ে আশঙ্কা রয়েছেন তমলুকের ঢাকিরা। সংসার চালাতে বাঁশের তৈরি নানান জিনিসপত্র তৈরি করে দিন গুজরান করছেন তাঁদের পরিবার। আবার কেউ কেউ রাজমিস্ত্রি, কেউ দিনমজুরের কাজ করছেন। 

আরও পড়ুন-মাঝরাতে ঘুমন্ত অবস্থায় মহিলার উপর অ্যাসিড হামলা, অভিযোগ প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে

প্রতি বছর দুর্গা পুজোর সময় কুড়ি থেকে তিরিশ হাজার টাকা আয় করতেন ঢাকিরা। কিন্তু এবছর ঢাক বাজিয়ে টাকা উপার্জনের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। আশা-আকাঙ্খার দোলাচলে দিন কাটছে তমলুকের ঢাকি পাড়ার প্রায় তিরিশটি পরিবার।

Share this article
click me!