হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনে আবার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট জমা আইসিএমআর-এ

Published : Aug 27, 2020, 01:47 AM IST
হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনে আবার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট জমা আইসিএমআর-এ

সংক্ষিপ্ত

করোনা আক্রান্তের শরীরে অ্যান্টিবডি স্থায়িত্ব নেই তাই তার পুনরায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল  অ্যান্টিবডি স্থায়িত্ব পাচ্ছে গড়ে মাত্র দুমাস  চাঞ্চল্যকর এই তথ্য উঠে এসেছে   রিপোর্টে 

শাজাহান আলি,মেদিনীপুর : করোনা আক্রান্তের শরীরে অ্যান্টিবডি স্থায়িত্ব না পাওয়ায় তার পুনরায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। অ্যান্টিবডি স্থায়িত্ব পাচ্ছে গড়ে মাত্র দুমাস। চাঞ্চল্যকর এই তথ্য উঠে এসেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতরের ‘সেরো সার্ভেলেন্স’ রিপোর্টে। 

রিপোর্ট বলছে, একদিকে যেমন শরীরে অ্যান্টিবডি ক্ষণস্থায়ী হচ্ছে, তেমনি করোনা চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপিও খুব একটা কার্যকরী হবে না। এমনকী হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন এবং আয়ুশ নির্দেশিত ওষুধপত্র খেলেও তাদের মধ্যে সংক্রমণের হার খুব একটা কম নয়, বরং ৮ গুন বেশি। তাই ভ্যক্সিনের কথা মাথা থেকে সরিয়ে কীভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায় তার উপরই গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। গত একমাস ধরে উঠে আসা এমন সার্ভে রিপোর্ট আইসিএমআর কে জমা দিতে চলেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতর ৷

সারা রাজ্যের মধ্যে এখন পর্যন্ত একমাত্র পশ্চিম মেদিনীপুরেই করোনা সংক্রমণের গতিপ্রকৃতি বুঝতে জেলার মধ্যে ৩০টি অধিক সংক্রমিত এলাকাকে ক্লাস্টার হিসেবে চিহ্নিত করে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা ও পাশাপাশি সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছিল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের যৌথ উদ্যোগে চলা এই সমীক্ষার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছিল ‘সেরো সার্ভেলেন্স’। যাকে খালি চোখে সুস্থ দেখাচ্ছে তিনি সত্যিই সুস্থ না সংক্রমিত, আগে সংক্রমিত হয়ে নিজে নিজেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন কিনা তা বোঝা যাবে এই সেরো সার্ভেলেন্সের মাধ্যমে। 

যদি শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে থাকে তাহলে তার স্থায়িত্ব কতটা তারও আন্দাজ পাওয়া যাবে। কিন্তু সমীক্ষা রিপোর্ট দেখে খোদ স্বাস্থ্যকর্তাদেরই চক্ষু চড়কগাছ। সার্ভে শেষ করে বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা তুলে ধরলেন চাঞ্চল্যকর তথ্য ৷ জেলার উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা: সৌমশঙ্কর সারেঙ্গী বলেন-যারা কোথায় গিয়েছিলেন বা ফিরেছেন তাদের করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় ২.৯ শতাংশ বেশি। আবার যারা হাইড্রোঅক্সি ক্লোরোকুইন খেয়েছিলেন তাদের সংক্রমণের সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় আট গুন বেশি। অর্থাৎ গবেষণাতে দেখা গিয়েছে, এই ওষুধ করোনা সংক্রমণে ব্যর্থ একেবারে ৷ যারা করোনা থেকে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন দুমাসের মধ্যে ৬৩ শতাংশ লোকের অ্য়ান্টিবডি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফলে তারা পুনরায় সংক্রমণের সম্ভাবনা প্রবল ৷

এদিন রিপোর্ট প্রকাশ কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন মেডিক্যাল কলেজ অধ্যক্ষ ডাঃ পঞ্চানন কুণ্ডু, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিমাই চন্দ্র মণ্ডল, উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য শঙ্কর সারেঙ্গী, ডাঃ কৃপাসিন্ধু গাঁতাইত, ডাঃ তারাপদ ঘোষ প্রমুখ। তারা স্বীকারও করে নিয়েছেন যে করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেলেও তার শরীরে অ্যান্টিবডি স্থায়ী হচ্ছে না। ফলে সতর্কতা অবলম্বন না করলে ওই ব্যক্তি ফের আক্রান্ত হয়ে যেতে পারেন। মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক ডা নিমাইচন্দ্র মন্ডল বলেন,এখনও যা বোঝা যাচ্ছে গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়নি ৷ আমদের তাই আরও পরীক্ষা করে আক্রান্তদের শনাক্ত করে আইসোলেট করতে হবে ৷যাতে গোষ্ঠী সংক্রম যাতে না হয় ৷ তবে সকলকে মাস্ক অবশ্যই পরতে হবে ৷

PREV
click me!

Recommended Stories

সোম-মঙ্গল ২ দিনের ফের জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী, কোচবিহারে ঠাসা কর্মসূচি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
Today Live News: বন্দে মাতরম নিয়ে সংসদে আলোচনার শুরু - দুপুর ১২টায় বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী