পাকিস্তানে এমন অনেক গ্রাম রয়েছে যেখানকার মানুষের কাছে দারিদ্রই যেন নিত্য সঙ্গী। বিশেষত পাকিস্তানের দক্ষিণ-পূর্ব সিন্ধ প্রদেশে এই সমস্যা অত্যন্ত প্রকট। টাকা-পয়সার অভাব তো রয়েছেই, তার পাশাপাশি এখানকার মানুষের মৌলিক চাহিদাও আজ বিপন্ন। রাস্তা-ঘাট, স্কুল-কলেজ কোনও কিছুই গড়ে ওঠেনি সেখানে। পাশাপাশি ছিল না পানীয় জলের বন্দোবস্তও।
সম্প্রতি সেখানে পানীয় জলের বন্দোবস্ত করেছেন একজন ভারতীয়। নাম যোগিন্দর সিং সালারিয়া। পেশায় ব্যবসায়ী যোগীন্দরের দৌলতে প্রত্যন্ত সেই অঞ্চলে এখন যেন প্রাণ ফিরে এসেছে। দুবাই নিবাসী ভারতীয় এই ব্যক্তির উদ্যোগেই সেখানে বসানো হয়েছে ৬২টি হ্যান্ড পাম্প। যার সাহায্যে এখন সেখানে জল পাচ্ছেন প্রচুর মানুষ।
পরিবেশ দূষণ নিয়ে কোনও চিন্তাই নেই! ট্রাম্পের তোপের মুখে ভারত-সহ তিন দেশ
শুধু তাই নয়, সেখানকার মানুষের কথা ভেবে তিনি চাষের জন্য কয়েক বস্তা শস্যদানাও পাঠিয়েছেন। কিন্তু কীভাবে যোগীন্দর পেলেন এই প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের খোঁজ। জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া মারফৎই পাকিস্তানের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। সেখান থেকেই ওই এলাকার মানুষের দুঃখের কথা জানতে পারেন তিনি। আর এরপরই এগিয়ে আসেন কাঁদের সাহায্যের করতে। যোগিন্দর সিং-এর কথায়, ভারতে পুলওয়ামা হামলা এবং পাকিস্তানে পাল্টা এয়ার স্ট্রাইকের পর ভারত-পাক সম্পর্ক যখন তিক্ততায় পরিণত হয় সেই সময়েই পাকিস্তানের সেই প্রত্যন্ত গ্রামে তাঁর তত্ত্বাবধানে ওই হ্যান্ডপাম্প বসানো কাজ চলছিল। হতভাগ্য মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে যোগীন্দর যেন তাঁদের পুনর্জন্মদাতা।