বিএসএফ জওয়ানের হাতেই পুরিয়া, জঙ্গিরা কোনঠাসা হতেই কাশ্মীরে নয়া কৌশল নিল পাকিস্তান

কাশ্মীরে শান্তি বিঘ্নিত করার জন্য সব চেষ্টাই করে পাকিস্তান

সম্প্রতি ভারতীয় সেনার দাপটে ধাক্কা খেয়েছে সন্ত্রাসবাদীরা

এই অবস্থায় কাশ্মীর নিয়ে অন্য কৌশল নিয়েছে তাঁরা বলে সন্দেব নিরাপত্তা বাহিনীর

রমধ্যে জড়িয়ে পড়েছিল এক বিএসএফ জওয়ানও

 

amartya lahiri | Published : Jul 14, 2020 12:18 PM IST / Updated: Jul 19 2020, 03:16 PM IST

কাশ্মীর উপত্যকায় শান্তি বিঘ্নিত করার জন্য চেষ্টার অন্ত নেই পাকিস্তানের। সেনার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে সন্ত্রাসবাদীদের ভারতে অনুপ্রবেশে সহায়তা করাই হোক, কিংবা জম্মু-কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদীদের হাতে নিয়ন্ত্রণ রেখার ওইপার থেকে অস্ত্র এবং অর্থ পাচার করা- নানাভাবে অবিরাম চেষ্টা চালায় তারা। কিন্তু, ৩৫৬ ধারা বাতিলের পর থেকে উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে কড়া অভিযান চালাচ্ছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। বাহিনীর চাপে জঙ্গিরা যখন কোনঠাসা, সেই সময় উপত্যকার স্থিতাবস্থা নষ্ট করতে পাকিস্তানের নয়া ছক কাশ্মীরে ব্যাপক হারে মাদক পাচার।

মঙ্গলবার, পঞ্জাবের পুলিশ জানিয়েছেন সম্প্রতি তাদের হাতে চার পাচারকারী ধরা পড়েছে। গত ১৪ দিন ধরে তারা সাম্বা সেক্টরের ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রায় ৪০ কেজি হেরোইন পাচার করেছে। আর এর পিছনে কাজ করছে একটি মাদক ও অবৈধ অস্ত্র চোরাচালান চক্র, যাদের সমর্থন দিচ্ছে পাকিস্তান। গ্রেফতার হওয়া চারজনের মধ্য়ে এই পাচার চক্রের অন্যতম চাঁই-ও রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। লজ্জাজনক হল, সেই ব্যক্তি সাম্বা জেলায় মোতায়েন থাকা বিএসএফের এক কনস্টেবল, সুমিত কুমার ননী।

ওই চারজনের কাছ থেকে তুরস্কে তৈরি একটি জিগানা ৯ মিলিমিটার পিস্তল-সহ বেশ কিছু বিদেশি অস্ত্রশস্ত্র, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের ছাপওয়ালা ৮০ টি কার্তুজ, দুটি ম্যাগাজিন-সহ ১২ বোরের বন্দুকের কার্তুজ এবং প্রায় ৩২.৩০ লক্ষ টাকার মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তে আরও জানা গিয়েছে বেশ কয়েক বছর ধরেই সীমান্তের ওপার থেকে মাদক ও অস্ত্র পাচারে জড়িত ছিল কনস্টেবল সুমিত কুমার।

সে জানিয়েছে প্রথমবার তাঁরে সীমান্তের ওইপার থেকে ১৫ প্যাকেট হেরোইন ভারতে পাচার ও বিতরণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। দ্বিতীয়বারে, সে সীমান্তের ওইপার থেকে ২৫ প্যাকেট হেরোইন এবং ওই জিগানা ৯ মিমি পিস্তলটি এইপারে এনেছিল। অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন ব্যক্তিকে ওই হেরোইন সরবরাহ করেছিল সে। আর পিস্তলটি রেখে দিয়েছিল নিজের কাছেই। এরপরও বেশ কয়েকবার মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান করেছে সে। এরজন্য দুই খাতে তাকে ৩৯ লক্ষ টাকা দিয়েছিল পাকিস্তান।

সম্প্রতি বেশ কয়েকটি মাদক বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঘটনার পরই জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের একটি 'অ্যান্টি ড্রাগস টাস্ক ফোর্স' গঠন করেছে। গত ৯ জুলাই সেই বাহিনীর দুটি পৃথক অভিযানে তিন কোটি টাকারও বেশি মূল্যের মাদক উদ্ধার করা হয়েছিল। অ্যান্টি ড্রাগস টাস্কফোর্স-এর এসপি বিনয় শর্মা বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে মাদক চোরাচালেন যোগ-সহ সমস্ত সম্ভাব্য দিক নিয়ে তদন্ত করবে পুলিশ। তিনি জানিয়েছেন, গত দেড় বছরে প্রায় সমস্ত মাদক চোরাচালানের মামলার ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদের যোগ পাওয়া গিয়েছে। তাই এখন মাদক চোরাচালানের টাকা উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদ কায়েম রাখার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, বা এর পিছনে খালিস্তানি বা পাকিস্তান যোগ আছে কিনা, সবই তদন্ত করা হবে।

 

Share this article
click me!