আফগানিস্তানে তালিবানদের সাফল্যে উৎসাহিত পাকিস্তানের চরমপন্থীরাও। মঙ্গলবার লাহোরে তাদের হাতে ভাঙা পড়ল মহারাজা রঞ্জিত সিং-এর মূর্তি।
আফগানিস্তানে চলছে পালা বদলের পালা। চরমপন্থী ইসলামি গোষ্ঠী তালিবানদের হাতে চলে গিয়েছে সেই দেশের দখল। আর তারই ছায়া যেন পড়ল পাসের দেশ পাকিস্তানেও। মঙ্গলবার লাহোর দুর্গে স্থাপিত অষ্টাদশ শতকের শিখ শাসক মহারাজা রঞ্জিত সিং-এর মূর্তিটি ভাঙচুর করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার জন্য এক ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করেছে লাহোর পুলিশ। প্রসঙ্গত ২০১৯ সাল থেকে এই নিয়ে তিন-তিনবার ভাঙা হল এই মূর্তি।
গ্রেফতার হওয়া ওই ব্যক্তি পাকিস্তানের চরম ডানপন্থী দল, তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তান বা টিএলপি-র সদস্য বলে জানিয়েছে পাক পুলিশ। চলতি এই বছরের শুরুতেই তেহরিক-ই-লাব্বাইক'কে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছিল ইমরান খান সরকার। টুইটারে এই নক্কারজনক ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে ওই ব্যক্তি খালি হাতেই ওই মূর্তিটি ভাঙার চেষ্টা করছে। বারবার আঘাত করে করে সে মূর্তিটির হাত এবং অন্যান্য কয়েকটি অংশের ক্ষতি করে। তবে, মূর্তিটির আরও ক্ষতি করার আগেই দর্শনার্থীরা তাকে ধরে ফেলে। পরে তাকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে।
মহারাজার রঞ্জিত সিং-এর ১৮০ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ২০১৯ সালের জুন মাসে, লাহোর কেল্লায় ব্রোঞ্জে তৈরি নয় ফুট বিশিষ্ট মূর্তিটি স্থাপন করা হয়েছিল। শিখ সাম্রাজ্যের প্রথম রাজা ছিলেন রঞ্জিত সিং। প্রায় ৪০ বছর পঞ্জাব শাসন করেছিলেন তিনি। ১৮৩৯ সালে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। মূর্তিটিতে মহারাজা রঞ্জিত সিংকে ঘোড়ায় আসীন অবস্থায় দেখা যায়। তাঁর হাতে রয়েছে তরবারি, পরণে সম্পূর্ণ শিখ পোশাক।
আরও পড়ুন - বয়সের বাছ-বিচার নেই, ৩৬৫ জন মহিলাকে ডেট করাই লক্ষ্য এই যুবকের - বাকি আর ৩০টি
তবে প্রথম শিখ রাদার মূর্তি স্থাপনই সার। কোনওদিন তা রক্ষার জন্য উদ্যোগ দেখা যায়নি পাকিস্তানের তরফে। মূর্তিটি উন্মোচনের মাত্র দুই মাস পরই, প্রথমবার ভাঙচুর করা হযেছিল। সেইবারও এই তেহরিক-ই-লাব্বাইক দলেরই দুই সদস্য অভিযুক্ত হয়েছিল।