পাকিস্তান আদালতের সাজা অনুযায়ী থাকার কথা ছিল জেলে। কিন্তু লাহরে নিজের বাড়িতে বহাল তবিয়েতে রয়েছেন ২৬/১১ মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড লস্কর ই তৈবার সদস্য হাফিজ সইদ। সূত্রের খবর লাহোরের জহর টাউনের বাড়িতে বসেই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে রাষ্ট্রসংঘের সুরক্ষা কাউন্সিলের মোস্ট ওয়ান্ডেট জঙ্গির তালিকায় থাকা এই সন্ত্রাসবাদী। অথচ গত সপ্তাহেই তাকে সন্ত্রাসবাদীদের অর্থসাহায্য করার অভিযোগ দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ফেব্রুয়ারিও সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ সাহায্যের একটি মামলায় তাকে জামাতের প্রধান হাফিজ সইদকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পাকিস্তানের এই পদক্ষেপকে এই সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও স্বাগত জানিয়েছিল। বলেছিল একটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ব্যাপকভাবে প্রচার করা হলেও হাফিজ সইদ লাহোরের উচ্চ সুরক্ষা বলয়ে ঘেরা লখপত আদালতে নেই। সে রয়েছে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মোড়া নিজের বাড়িতে। একটি সূত্র বলছে তাকে সম্ভবত প্রতিরক্ষামূলক হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আর সেই অবস্থায় থেকে সে তার সঙ্গে দেখা করতে আসা অতিথিদের সঙ্গেও কথাবার্তা চালিয়ে যেতে পারছে। গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী গত মাসেই হাফিজের বাড়িতে দেখা করতে এসেছিল লস্করের এক কমান্ডার জারিক উর লাকভি। জেহাদের জন্য তহবিল জোগাড়ের বিষয় নিয়ে দুই সন্ত্রাসবাদীর মধ্যে কথা হয়েছিল বলেও সূত্রের খবর।
২৬/১১-র বার্ষিকীতে মন ছুঁয়ে যাওয়া বার্তা রতন টাটার, মানবতাকেই এগিয়ে রাখলেন তিনি ...
টিকা তৈরিতে গোলমাল, করোনা-ক্লান্ত বিশ্বকে আবারও হতাশ করল অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকা ...
সন্ত্রাসবাদীদের তীর্থক্ষেত্র পাকিস্তান ভারত-সহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ অভিযোগ তুলে একাধিকবার সরব হয়েছে। ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের কালো তালিকায় থাকা পাকিস্তান হাফিজ সইদকে শাস্তি দিয়ে কালো তালিকা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছিল বলে মনে করেছিল সংশ্লিষ্ট মহল। কালো তালিকা থেকে বার হতে পারলে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত হতে পারত ইমরান প্রশাসন। কিন্তু পাকিস্তানের সেই প্রচেষ্টা কতটা সদর্থক তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী হাফিজ সইদ ও লাকভি প্রায় স্বাধীনভাবেই চলাফেরা করছে পাকিস্তানে। মুম্বই হামলার সঙ্গে জড়িতদের ভারত একাধিকবার হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তান তাতে কোনও আগ্রহ প্রকাশ করেনি। হাফিজ সইদ ইস্যুতে পাকিস্তান তথ্য গোপন করছে বলেও অভিযোগ তুলেছে ভারত। কিন্তু তারপরেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। ইমরান খানের প্রশাসন আরও একবার প্রমাণ করেদিল জঙ্গিদের মুক্ত রাষ্ট্র হয়ে উঠেছে পাকভূখণ্ড। তেমনই দাবি করেছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শীর্ষ আধিকারিক।