
১২-তে পড়ল ডিডো। পড়াশোনায় বেশ ভালো। মায়ের বাধ্য ছেলে। সারাদিন বাড়িতেই থাকে। পড়াশোনা, ভিডিও গেমস নিয়ে তার জীবন। কিন্তু, একটু বেশিই ঘ্যান ঘ্যানে করছে সে। সারাক্ষণ বিরক্তি (Irritability) দেখাচ্ছে। মন মতো কিছু না হলে কান্নাকাটি (Crying) করে। সারাক্ষণ ঘ্যান ঘ্যান করছে। একটুতেই হতাশ হয়ে পড়ে। যত বড় হচ্ছে, তত যেন এই সমস্যা বাড়ছে। এমন ঘটনা অনেকের সঙ্গেই হয়। আজকাল অনলাইনে ক্লাস (Online Class) করার জন্য, বাচ্চা ঘরকুণো হয়ে যাচ্ছে। অনেক বাচ্চার মধ্যে ঘ্যান ঘ্যানে স্বভাব দেখা দেয়। এই স্বভাব উপেক্ষা করবেন না। ডিপ্রেশনের (Depression) জন্য হতে পারে এই সমস্যা। জেনে নিন কী কী লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন।
সারাক্ষণ বায়না লেগে রয়েছে বাচ্চার। আর বায়না মতো জিনিস না পেলেই শুরু হয়ে যাচ্ছে কান্নাকাটি। যতক্ষণ না, আপনি তার চাহিদা মতো জিনিস দেবেন, ততক্ষণ চলবে এই কান্নাকাটি (Crying)। কিছুতেই কিছু বুঝতে চাইছে না। ক্রমে বাড়ছে বাচ্চার জেদ। তার কথা না মানলেই, চলছে অশান্তি। বাচ্চাকে চুপ করাতে চাহিদা মতো জিনিস দিচ্ছেন তাকে। এমন করবেন না। এতে বাচ্চার বিপদ বাড়বে। অনেক সময় ডিপ্রেশন থেকে এমন আচরণ করে বাচ্চারা। তাই তার জেদ না রেখে কেন এমন করছে খুঁজে দেখুন।
পরীক্ষার রেজাল্ট একটু খারাপ হল তো মন খারাপ। খেলায় হেরে গেল তো ভেঙে পড়ল। সর্বক্ষেত্রে সে প্রথম হতে চায়। তা না হলেও হতাশা গ্রাস করে তাকে। মন খারাপ করে বসে থাকে, ভেঙে পড়ে নিজের ব্যর্থতা নিয়ে, কারও সঙ্গে কথা বলতে চায় না। এমন আচরণ (Behaviour) অনেক বাচ্চার মধ্যে দেখা যায়। প্রাথমিত ভাবে বাচ্চাকে বুঝিযে পরিস্থিতি সামাল দিতে চেষ্টা করেন সকলে। কিন্তু, তা না হলে বাচ্চাকে নিজের মতো ছেড়ে দেন। বাচ্চার এই স্বভাব উপেক্ষা করবেন না। ডিপ্রেসনের জন্য তার মধ্যে এমন জিনিস দেখা দিতে পারে। তাই সবার আগে বুঝিয়ে বলুন। এই সমস্যা বাড়তে থাকলে ডাক্তারি পরামর্শ নিন।
ডিপ্রেসনের জন্য দেখা দিতে পারে আত্মহত্যার (Suicide) প্রবণতা। প্রতিদিনই রাজ্যে একাধিক বাচ্চা আত্মহত্যা করছে। এর প্রধান কারণ ডিপ্রেসন। তাই বাচ্চাকে নজরে রাখুন। তার মধ্যে হতাশা দেখা দিলে ডাক্তার দেখান। ডিপ্রেসনের জন্য বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আগে সতর্ক হন। বাচ্চার মুখে আত্মহত্যার কথা শুনলে সতর্ক হন। সময় মতো ডাক্তারি পরামর্শ নিন। তা না হলে এই সমস্যা বড় আকার নিতে পারে।