ভাই বা বোন হলে, বড় সন্তানের মধ্যে নানা রকম পরিবর্তন হয়। মায়ের সঙ্গে একটা দূরত্ব (Distance) তৈরি হতে দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। এই সমস্যার অনেক সময় বড় আরও নেয়। তাই সতর্ক হন।
ছয় মাস হল আপনার পরিবারে এসেছে নতুন সদস্য। দ্বিতীয়বার মা হলেন। বড় মেয়ের বয়স পাঁচ। আর এবার সংসারে আলো করে এসেছে একটি ফুটফুটে ছেলে। ভাইকে পেয়ে বেশ খুশিই তিন্নি। তার সামনে বসে থাকে, ভাই কাঁদকে তাকে চুপ করাতে যায়, আদর করে। কিন্তু, শেষ কদিন খেয়াল করছেন, তার মধ্যে নানা রকম পরিবর্তন। আপনার কাছে আসে না। মাঝে-মধ্যে ভাইকে আদর করে চলে যায়। আপনাকে এড়িয়ে (Avoid) চলছে। মাঝে মধ্যেই রাগ দেখাচ্ছে, জেদ করছে। বাচ্চার মধ্যে এমন হওয়া স্বাভাবিক। ভাই বা বোন হলে, বড় সন্তানের মধ্যে নানা রকম পরিবর্তন হয়। মায়ের সঙ্গে একটা দূরত্ব (Distance) তৈরি হতে দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। এই সমস্যার অনেক সময় বড় আরও নেয়। নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে অনেকে। তাই আগে থেকে সতর্ক হতে হবে। দুই বাচ্চাকে সমান ভাবে সামলাতে হবে।
কেন এমন করছে- সবার আগে জানা চেষ্টা করুন কেন সে নিরাপত্তাহীনতায় (Insecure) ভুগছে। ছোটটাকে নিয়ে যতই ব্যস্ত থাকুন, বড়কে সময় দিন। তার মনের কথা জানার চেষ্টা করুন। ঠিক কেন তার এমন মনে হচ্ছে সেটা জানার প্রয়োজন। আর সেটা জানতে পারলে নিজের আচরণে (Attitude) পরিবর্তন আনুন। মনে রাখবেন, সমস্যা সমাধান করার আগে, সেই সমস্যার কারণ জানান সব থেকে বেশি প্রয়োজন।
দুজনকে সমান গুরুত্ব দিন- সদ্যজাতকে নিয়ে ব্যস্ততা থাকে তুঙ্গে। এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে বড় সন্তানকে সময় দেবেন না, এমন তো নয়। যতই ব্যস্ত থাকুন সময় বের করুন বড় সন্তানের জন্য। তার সঙ্গে খেলা করুন, তাকে পড়ান। প্রথম দিন থেকেই দুজনকে সমান ভাবে ব্যালেন্স (Balance) করুন। মনে রাখবেন, আপনি কী করছেন, তারপর নির্ভর করছে দুই সন্তানের সম্পর্ক। আপনার জীবনে তার যে সমান জায়গাই আছে তা বোঝান। তবেই তার মন থেকে নিরাপত্তাহীনতা (Insecure) দূর হবে।
সদ্যজাতের কাজে যুক্ত করুন- সদ্যজাত সন্তানকে বেশি যত্ন করা প্রয়োজন। হাইজিন (Hygiene) বজায় রাখান জন্য অনেকই তার কাছে অন্য কাউকে ঘেঁষতে দেয় না। তবে, বড় সন্তানকে দ্বিতীয়টার কাজে যুক্ত করুন। ছোট ছোট কাজ করান। তাকে বোঝেন, ভাই-বোনের সম্পর্কের গুরুত্ব। সে যত জড়িত হবে, তত নিরাপত্তাহীনতা (Insecure) দূর হবে। তাই বুদ্ধি করে, দুই সন্তানের মধ্যে সম্পর্ক বজায় রাখুন।