ধীরে ধীরে তিক্ত হয়ে উঠেছিল সম্পর্ক। আপনি অনেক চেষ্টা হয়তো করেছেন। কিন্তু, যা থাকা নয়, তা থাকল না। এর পর থেকেই হাজার চেষ্টা নিজের জীবনে সব ঠিক করতে পারছেন না। প্রেম ভাঙার (Breakup) পর থেকে একের পর এক সমস্যা চলছে।
সম্পর্কটা ছিল পাঁচ বছরের। বহুদিনের প্রেম। দুজনে-দুজনকে যে ভাবে চিনতেন তা হয়তো অন্য কেউ পারবে না। সব বন্ধুরা ঈর্ষা (Jealous) করত আপনাদের জুটিকে। কিন্তু, সেই প্রেম আর টিকল না। নানা রকম সমস্যা চলছিল। ধীরে ধীরে তিক্ত হয়ে উঠেছিল সম্পর্ক। আপনি অনেক চেষ্টা হয়তো করেছেন। কিন্তু, যা থাকা নয়, তা থাকল না। এর পর থেকেই হাজার চেষ্টা নিজের জীবনে সব ঠিক করতে পারছেন না। প্রেম ভাঙার (Breakup) পর থেকে একের পর এক সমস্যা চলছে। আপনি নিজেও বুঝতে পারছেন যে আপনি ছোট ছোট বিষয়ে বেশি মাথা ঘামাচ্ছেন। তবে, শুধু প্রেম (Love) নয়, জীবনে কোনও সমস্যাই বলে-কয়ে আসে না। সমস্যা নির্দিষ্ট কোনও বিষয় নিয়েও হয় না। কখনও অফিস (Office), কখনও ব্যক্তিগত জীবনের (Personal Life) সমস্যা তো কখনও অন্য কিছু। সমস্যা আসা মানে জীবনের গতি পরিবর্তন হবেই। কিন্তু, এরপর নিজের জীবনের গতি ঠিক রাখাটাই বড় চ্যালেঞ্জের (Challenge)। এক্ষেত্রে মেনে চলুন এই কয়টি জিনিস।
ভয়ের মুখোমুখি হন- প্রেমটা ভেঙেছে প্রায় ১ বছর হল। এই এক বছরে আপনার জীবনে কোনও অগ্রগতিই ঘটেনি। মাঝে একটি প্রেমের প্রস্তাব পেয়েছিলেন। ছেলেটি ভালো জেনেও এগোলেন না। হয়তো প্রেম ভাঙার (Breakup) পর প্রেমের ওপর থেকে আপনার ভরসাই উঠে গিয়েছে। আপনি এক জীবনটাই বেছে নিয়েছেন। এমন ঘটনাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঘটে। কিন্তু, এমন মানসিকতা রাখা উচিত নয়। একবার ঠকেছেন বলে বার বার ঠকবেন এমন হতে পারে না। তাই নিজেকে বোঝান। ভয়ের সামনা করুন। দেখবেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
আত্মবিশ্বাস বাড়ান- একটা প্রেম ভেঙেছে বলে আপনি প্রেমিক হিসেবে অযোগ্য এমন হতে পারে না। এই ধারণা মনে পোষণ করবেন না। আত্মবিশ্বাস (Confidence) বৃদ্ধি করুন। তা না হলে, পরবর্তীকালে নিজেই সমস্যায় পড়বেন।
ইচ্ছেকে গুরুত্ব দিন- একান্তে সময় কাটান। নিজের ইচ্ছেকে গুরুত্ব দিন। হতেই পারে প্রেমিকের জন্য আপনি কোনও স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে পারেননি। সেই স্বপ্ন পূরণ করুন। নিজের জন্য সময় বের করুন। নিজের মন কী চায়, তা বোঝার চেষ্টা করুন। এমন কিছু করুন যাতে মন ভালো থাকে।
আরও পড়ুন: Long Distance Relationship-এ এই ভুলগুলো করবেন না, থেকে যায় সঙ্গীকে হারানোর ভয়
রুটিন- সারাদিনের একটা রুটিন তৈরি করুন। এর মধ্যে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, গল্প করা সবই রাখুন। নিজে ফাঁকা বসে থাকবেন না। এতে উল্টো-পাল্টা চিন্তা মাথায় আসবে। তাই নিজেকে যতটা সম্ভব ব্যস্ত রাখুন। কয়েকদিনেই দেখবেন সব ঠিক হয়ে যাবে।