
চীনের (China) বেজিংয়ে (Bejjing)আয়োজিত শীতকালীন অলিম্পিক্স (Winter Olympics) যতই এগিয়ে আসছে ততই কুটনৈতিকভাবে চিনকে কোণঠাসা করার পথে হাঁটছে একের পর এক দেশ। কিছুদিন আগে শীতকালীন অলিম্পিক্সকে কুটনৈতিক বয়কট (Diplomatic boycott)করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (USA) জো বাইডেন (Joe Biden)সরকার। এবার আমেরিকার দেখানো পথে হাঁটল অস্ট্রেলিয়াও। বেজিংয়ে শীতকালীন অলিম্পিককে কূটনৈতিক বয়কটের ঘোষণা অস্ট্রেলিয়ার (Australia) প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন (Scott Morrison)। প্রতিযোগিতার গেলেও কোনও সরকারি আধিকারিক যাবে অস্ট্রেলিয়ার। ২০২২ সালে ৪ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি বেজিংয়ে শীতকালীন অলিম্পিক্স অনুষ্ঠিত হবে। চিনের রাজধানীর পাশাপাশি হেইবেই প্রদেশের ঝ্যাংজিয়াকউ এবং পার্বত্য অঞ্চল ইয়াংকিঙে হবে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।
করোনা অতিমারীর জন্য চিনকে দায়ী করার পাশাপাশি চিনের একের পর এক গণহত্যার ঘটনা ও জিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে আমেরিকা। সেই পথে হেঁটে নিজেদের অবস্থানও পরিষ্কার করে দিল অস্ট্রেলিয়ার স্কট মরিসন সরকার। এছাড়া একাধিক বিষয়ে সাম্প্রতিক সময়ে অস্ট্রেলিয়া সরকারের সঙ্গে মত পার্থক্য হচ্ছিল বেজিয়ের। সেই কারণেই শীতকালীন অলিম্পিক কূটনৈতিক বয়কটের সিদ্ধান্ত। অস্ট্রেলিয়া প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে,‘চীনের বিরুদ্ধে আমাদের যে অবস্থান রয়েছে সেখান থেকে একটুও সরছি না আমরা। দেশের স্বার্থ আমাদের কাছে সব থেকে আগে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই বেজিংয়ে কোনও আধিকারিক যাবেন না। তবে চাইলে প্রতিযোগীরা যেতে পারেন।' অলিম্পিক্স হোক বা শীতকালীন অলিম্পিক্স আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম দুই শক্তিধর দেশ। তারা এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায়য় বেজিংয়ের উপরও বাড়ছে চাপ। এবার অন্য কোনও দেশও একই রাস্তা অবলম্বন করে কিনা সেটাই দেখার।
প্রসঙ্গত, এর আগে জো বাইডেনের নেতৃত্বে মার্কিন প্রশাসন শীতকালীন অলিম্পিককে কূটনৈতিক বয়কট করে বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছিল, চিনের একের পর এক গণহত্যার ঘটনা ও জিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে আমেরিকা। এই প্রতিবাদ স্বরূপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন বেজিংয়ে ২০২২ সালের শীতকালীন অলিম্পিকে কোনও মার্কিন প্রতিনিধি দল পাঠাবে না। ওয়াশিংটনের তরফে জানানো হয়েছে মার্কিন ক্রীড়াবিদদের অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করার অনুমতি দেওয়া হবে, তবে প্রশাসন গেমগুলিতে সরকারী কর্মকর্তাদের পাঠাবে না। প্যারা অলিম্পিক গেমসের ক্ষেত্রেও একই নীতি নেবে আমেরিকা। উল্লেখ্য এই প্যারা অলিম্পিক গেমসও বেজিংয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে চিনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অর্থ সেখানে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক নয়।