ইউটিউব চ্যানেলে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে উত্তাল ময়দান। ইস্টবেঙ্গল সদস্য-সমর্থকরা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এবার সরকারিভাবে এ বিষয়ে মুখ খুলল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব।
ইউটিউব চ্যানেলে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে 'দেশ-বিরোধী', ‘রোহিঙ্গাদের ক্লাব’ বলে আক্রমণ করা নিয়ে এবার মুখ খুললেন কর্তারা। শনিবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এই ঘটনার প্রতিবাদ করলেন সচিব রূপক সাহা ও শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। অগনিত সদস্য-সমর্থকের ভাবাবেগে আঘাত করার ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না ইস্টবেঙ্গল কর্তারাও। তাঁরাও ক্লাব সম্পর্কে এই ধরনের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ। দেবব্রত বলেছেন, 'আমরা নজর রাখছি। আজ সাংবাদিক সম্মেলনের পর কোন পথে যাওয়া যায় বিবেচনা করব। অত্যন্ত দুঃখনজক ঘটনা। আমার জীবনে এই ধরনের ঘটনা প্রথম দেখলাম। আমরা কখনও এরকম পরিস্থিতি ফেস করিনি।'
কী পদক্ষেপ ইস্টবেঙ্গলের?
ইউটিউবার সম্পর্কে দেবব্রত বলেছেন, 'আমরা প্রশাসনিক দিক থেকে বলছি, ওঁর ব্যক্তিগত জীবন বা ওঁর প্রতিষ্ঠানের উপর কোনওরকম আঘাত আসুক এটা চাই না বলেই সাংবাদিক সম্মেলন করছি। আমাদের কোটি কোটি সমর্থক আহত হচ্ছে। আমরা চাই শান্তির বাতাবরণ বজায় থাকুক। প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের কোনও কথা হয়নি। প্রয়োজন হলে নিশ্চয়ই যাব। আমরা আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।'
ক্রীড়ামন্ত্রীর বক্তব্যের দায় নিতে নারাজ ইস্টবেঙ্গল
যে ইউটিউব চ্যানেলে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব দেশ-বিরোধী, এনআরসি-র বিরোধী কি না এই প্রশ্ন তোলা হয়েছে, সেখানে ইস্টবেঙ্গলের অনুষ্ঠানে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের মন্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। তবে মন্ত্রীর মন্তব্যের দায় নিতে নারাজ ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। তাঁদের দাবি, মন্ত্রীর বক্তব্য ব্যক্তিগত। ক্লাব এই মন্তব্য সমর্থনও করছে না, বিরোধিতা বা প্রতিবাদও করছে না। তবে এই ইউটিউব চ্যানেলে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সম্পর্কে যে ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু জানাননি দেবব্রত।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
'মূর্খ সাংবাদিক, ইস্টবেঙ্গলের ইতিহাস জানে না,' ইউটিউবারকে তোপ প্রাক্তন ফুটবলার সূর্যবিকাশ চক্রবর্তীর
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে নিষিদ্ধ করার দাবি! লাল-হলুদের পাশে দাঁড়িয়ে ইউটিউবারের বিরুদ্ধে সরব কুণাল ঘোষ
প্রথমার্ধের লড়াই দ্বিতীয়ার্ধে উধাও, এভার্টনের বিরুদ্ধে ৬ গোল হজম ইস্টবেঙ্গলের