ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট, মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সমর্থকরা একসঙ্গে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসকের মর্মান্তিক পরিণতির বিচারের দাবিতে একজোট।
কলকাতা ডার্বি বাতিলের প্রতিবাদ এবং আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে ধর্ষণের পর চিকিৎসককে খুনের ঘটনার বিচারের দাবিতে অসংখ্য ফুটবলপ্রেমীদের মতোই বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের বাইরে গিয়েছিলেন অজয়নগরের বাসিন্দা চন্দন মণ্ডল। তিনি সবার সঙ্গে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন। নিজে ইস্টবেঙ্গল সমর্থক হলেও, মোহনবাগান সমর্থকদের সঙ্গে মিলে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। হঠাৎ তেড়ে এল পুলিশ। কোনওরকমে পালিয়ে বাঁচলেন চন্দন। তাঁর সঙ্গেই ছুটে পুলিশের লাঠিচার্জ এড়ালেন আরও অনেকে। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে পুলিশ যে এভাবে লাঠি হাতে তেড়ে আসবে, সেটা ভাবতে পারেননি চন্দনরা। তাঁরা পুলিশের ভূমিকায় স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন।
কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল?
চন্দন জানালেন, ‘আমরা কাদাপাড়ার দিক থেকে স্টেডিয়ামের দিকে যাচ্ছিলাম। পুলিশ আমাদের বলে, এগিয়ে যাওয়া যাবে না। এরপর আমরা আর এগোইনি। সেই সময় খুব বেশি লোক ছিল না। তারপর যত সময় গড়াতে থাকে, তত লোক বাড়তে থাকে। হঠাৎ পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। আমাদের দিকেও তেড়ে আসে পুলিশ। আমরা কোনওরকমে ছুটে পালিয়ে যাই। কাদাপাড়া, বেলেঘাটা কানেক্টর, ফুলবাগান কানেক্টর, সবদিকে প্রচুর পুলিশ ছিল। মেট্রো স্টেশনগুলির কাছেও পুলিশ ছিল। পুলিশের সঙ্গে আমাদের লড়াইয়ের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।’
ফুটবলপ্রেমীদের উপর কেন লাঠিচার্জ পুলিশের?
নিজে অনেকটা ছুটে পুলিশের লাঠির নাগাল এড়াতে পারলেও, চোখের সামনে কয়েকজনকে পুলিশের লাঠির ঘায়ে আহত হতে দেখেছেন চন্দন। সেই দৃশ্য ভুলতে পারছেন না এই ফুটবলপ্রেমী। তিনি বলছেন, 'কলকাতা ডার্বি হলে এত পুলিশ দরকার হত না। প্রতিবাদ থামানোর জন্য এত পুলিশকে ব্যবহার করা হলেও, তাতে কোনও লাভ হল না। শিরদাঁড়া বিক্রি হয়নি এখনও। ফের অন্যায় হলে এভাবেই পথে নেমে প্রতিবাদ জানাব।'
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
বিচারের দাবিতে প্রতিবাদে যোগ দেওয়া ফুটবলপ্রেমীদের ধরপাকড় পুলিশের, গাড়ি থেকে নামালেন কল্যাণ চৌবে
উড়ে গেল ফেসবুক প্রোফাইল, আর জি কর নিয়ে প্রতিবাদের মাসুল দিতে হল সৌভিক চক্রবর্তীকে!
'বাঙাল এবং ঘটি, দুই পক্ষই তাদের বোনের জন্য একসাথে দাঁড়িয়েছে,' আর জি কর নিয়ে সরব সৌভিক চক্রবর্তী