দক্ষিণ কোরিয়াকে সহজেই হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল ব্রাজিল। পূর্ণ আধিপত্য নিয়েই প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে জয় পেল ব্রাজিল।
দক্ষিণ কোরিয়াকে অনায়াসে ৪-১ গোলে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল ব্রাজিল। এদিন প্রথমার্ধের শেষেই ৪-০ গোলে এগিয়েছিল ব্রাজিল। ৭ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল করে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। এরপর ১২ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে দলের দ্বিতীয় গোল করেন নেইমার। এটাই এবারের বিশ্বকাপে নেইমারের প্রথম গোল। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপে কোনও ম্যাচের ১৩ মিনিটের মধ্যে ২ গোল করল ব্রাজিল। এর আগে ২০০২ বিশ্বকাপে কোস্টারিকার বিরুদ্ধে প্রথমবার ১৩ মিনিটের মধ্যে ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ব্রাজিল। এই ম্যাচে ২০ বছর আগের পুনরাবৃত্তি হল। আরও নজির গড়ল ব্রাজিল। ২৯ মিনিটে ব্রাজিলের হয়ে তৃতীয় গোল করেন রিচার্লিসন। ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপে স্পেনের বিরুদ্ধে ৩১ মিনিটের মধ্যে ৩-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ব্রাজিল। তার চেয়েও কম সময়ে এদিন ৩ গোল করে ফেলল ব্রাজিল। এরপর ৩৬ মিনিটের মাথায় ব্রাজিলের হয়ে চতুর্থ গোল করেন লুকাস পাকুয়েতা। প্রথমার্ধে ব্যবধান বাড়ানোর আরও সুযোগ পেয়েছিল ব্রাজিল, কিন্তু আর গোল হয়নি। ১৯৫৪ সালের বিশ্বকাপে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে ম্যাচে প্রথমার্ধের শেষে ৪-০ গোলে এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। তারপর এই প্রথম বিশ্বকাপের কোনও ম্যাচে প্রথমার্ধেই ৪ গোল করল সেলেকাওরা।
এদিন শুরু থেকেই আক্রমণ করতে থাকে ব্রাজিল। নেইমার, রাফিনহারা ঠিক সময়ে সতীর্থদের পাস দিতে পারলে হয়তো প্রথমার্ধেই আরও গোল হত। ২৬ মিনিটের মাথায় ক্যাসেমিরোর কাছ থেকে বল পেয়ে একা বক্সে ঢুকে পড়েন নেইমার। কিন্তু কোনও সতীর্থকে পাস না দিয়ে তিনি এমন জায়গায় চলে যান, যেখান থেকে গোল করা সম্ভব ছিল না। ফলে সুযোগ নষ্ট হয়। ৪৫ মিনিটের মাথায় পাকুয়েতার জোরাল শট অসাধারণ সেভ করে নিশ্চিত গোল বাঁচান দক্ষিণ কোরিয়ার গোলকিপার কিম সিউং গিউ।
প্রথমার্ধেই ৪ গোল হয়ে যাওয়ায় দ্বিতীয়ার্ধে আর সেভাবে আক্রমণের চেষ্টা করেনি ব্রাজিল। বরং বিপক্ষ দলকে কিছুটা খেলার সুযোগ দেন নেইমাররা। এরই সুযোগ নেন সন হিউং-মিনরা। ৪৮ মিনিটের মাথায় মার্কুইনহোসকে চাপে ফেলে দেন দক্ষিণ কোরিয়ার অধিনায়ক। তবে তাঁর শট বাইরে চলে যায়। ৫৪ মিনিটে রাফিনহার শট দুর্দান্তভাবে বাঁচিয়ে দেন দক্ষিণ কোরিয়ার গোলকিপার। ৭২ মিনিটের মাথায় ভিনিসিয়াস ও ড্যানিলোকে তুলে নেন ব্রাজিলের কোচ তিতে। জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় চোট এড়াতেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন। এরপরেই ব্যবধান কমায় দক্ষিণ কোরিয়া। ৭৬ মিনিটের মাথায় বাঁ পায়ের অসাধারণ শটে গোল করেন পাইক সিউং হো। এরপর ৮১ মিনিটে নেইমারকে তুলে নেন তিতে। এরপর এই ম্যাচে আর গোল হয়নি।
আরও পড়ুন-
রোনাল্ডোর আচরণে একেবারেই খুশি নন, প্রকাশ্যে জানিয়ে দিলেন পর্তুগালের কোচ
টাইব্রেকারে জাপানকে হারিয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া
পোল্যান্ড-সেনেগালের বিদায়, বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্স-ইংল্যান্ড